ঢাকা ১০:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জনগণের অগ্রগতির একমাত্র অবলম্বন বিএনপির ৩১ দফা : এ এস এম আব্দুল হালিম পুশ-ইন বা পুশ-ব্যাক কোনো আইনসম্মত পদ্ধতি নয় : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মাইক্রোক্রেডিটই ব্যাংকিংয়ের ভবিষ্যৎ : প্রধান উপদেষ্টা মাদারগঞ্জে কৃষকদলনেতার বিরুদ্ধে বসতবাড়ি দখলের অভিযোগ শেরপুরে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের শিক্ষকদের মানববন্ধন মাদারগঞ্জে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু ডিজিটাল রূপান্তরের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান সুযোগ নিশ্চিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা মাদারগঞ্জে একমণ ধানের দামেও মিলছে না একজন ধানকাটা শ্রমিক বকশীগঞ্জে আগুনে পোড়া এক নারীর মরদেহ উদ্ধার ছাত্রদলনেতা সাম্য হত্যার বিচার চায় সরিষাবাড়ীর ছাত্রদল

একুশে পদক বিতরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী

বাংলারচিঠি ডটকম ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মর্যাদাপূর্ণ একুশে পদক বিতরণ করেছেন। তিনি স্ব-স্ব ক্ষেত্রে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ২১ জন ব্যক্তিকে রাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা একুশে পদক ২০১৯ এ ভূষিত করেন।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এই পদক বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে।

এ বছরের একুশে পদক প্রাপ্তরা হচ্ছেন: ভাষা আন্দোলনে অবদানের জন্য মরহুম অধ্যাপক হালিমা খাতুন (মরণোত্তর), যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলি গোলাম আরিফ টিপু এবং অধ্যাপক মনোয়ারা ইসলাম। ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র বৈশ্য একুশে পদক পেয়েছেন মহান মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকার জন্য।

প্রয়াত পপ শিল্পী আজম খান (মরণোত্তর) ও নজরুল সংগীত শিল্পী খায়রুল আনাম শাকিলের সঙ্গে এবার সংগীত বিভাগে এ পুরস্কার পান গায়ক সুবীর নন্দী।

সুবর্ণা মুস্তাফার সঙ্গে লাকী ইনাম ও লিয়াকত আলী লাকী একুশে পদক পান অভিনয়ের জন্য।

দেশের প্রথম নারী আলোকচিত্রী সাইদা খানম আলোকচিত্রে অবদানের জন্য এবং চিত্রশিল্পী জামাল উদ্দিন আহমেদ চারুকলায় এ পুরস্কার পান।

গবেষণায় ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ ও ড.মাহবুবুল হক এবং শিক্ষায় ড. প্রণব কুমার বড়ুয়াকে এ পদক প্রদান করা হয়।

এ ছাড়া ভাষা সাহিত্যে রিজিয়া রহমান, ইমদাদুল হক মিলন, অসীম সাহা, আনোয়ারা সৈয়দ হক, মইনুল আহসান সাবের ও হরিশংকর জলদাস একুশে পদক পান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একুশে পদকপ্রাপ্তদের হাতে পদক তুলে দেন এবং মরণোত্তর একুশে পদক বিজয়ী মরহুম অধ্যাপক হালিমা খাতুনের পক্ষে তাঁর কন্যা বেগম প্রজ্ঞা লাবনী এবং পপ সম্রাট আজম খানের পক্ষে তাঁর কন্যা বেগম ইভা খান পুরস্কার গ্রহণ করেন।

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. আবু হেনা মুস্তফা কামাল স্বাগত বক্তৃতা করেন।

মন্ত্রী পরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এবং পদক বিজয়ীদের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি পাঠ করেন।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, সরকারের উপদেষ্টাবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, বিচারপতিগণ, পদস্থ সামরিক ও বেসাসরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, কবি, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, শিল্পীসহ বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকবৃন্দ, পূর্বের একুশে পদক বিজয়ী ব্যাক্তিবর্গ এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেককে ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, এককালীন দুই লাখ টাকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।

ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে সরকার ১৯৭৬ সাল থেকে প্রতিবছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এই পুরস্কার দিয়ে আসছে। এ পর্যন্ত ৪৫৭ জন সুধী এবং ৩টি প্রতিষ্ঠানকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়েছে।
সূত্র : বাসস

আপলোডকারীর তথ্য

জনগণের অগ্রগতির একমাত্র অবলম্বন বিএনপির ৩১ দফা : এ এস এম আব্দুল হালিম

একুশে পদক বিতরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৯:০২:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

বাংলারচিঠি ডটকম ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মর্যাদাপূর্ণ একুশে পদক বিতরণ করেছেন। তিনি স্ব-স্ব ক্ষেত্রে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ২১ জন ব্যক্তিকে রাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা একুশে পদক ২০১৯ এ ভূষিত করেন।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এই পদক বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে।

এ বছরের একুশে পদক প্রাপ্তরা হচ্ছেন: ভাষা আন্দোলনে অবদানের জন্য মরহুম অধ্যাপক হালিমা খাতুন (মরণোত্তর), যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলি গোলাম আরিফ টিপু এবং অধ্যাপক মনোয়ারা ইসলাম। ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র বৈশ্য একুশে পদক পেয়েছেন মহান মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকার জন্য।

প্রয়াত পপ শিল্পী আজম খান (মরণোত্তর) ও নজরুল সংগীত শিল্পী খায়রুল আনাম শাকিলের সঙ্গে এবার সংগীত বিভাগে এ পুরস্কার পান গায়ক সুবীর নন্দী।

সুবর্ণা মুস্তাফার সঙ্গে লাকী ইনাম ও লিয়াকত আলী লাকী একুশে পদক পান অভিনয়ের জন্য।

দেশের প্রথম নারী আলোকচিত্রী সাইদা খানম আলোকচিত্রে অবদানের জন্য এবং চিত্রশিল্পী জামাল উদ্দিন আহমেদ চারুকলায় এ পুরস্কার পান।

গবেষণায় ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ ও ড.মাহবুবুল হক এবং শিক্ষায় ড. প্রণব কুমার বড়ুয়াকে এ পদক প্রদান করা হয়।

এ ছাড়া ভাষা সাহিত্যে রিজিয়া রহমান, ইমদাদুল হক মিলন, অসীম সাহা, আনোয়ারা সৈয়দ হক, মইনুল আহসান সাবের ও হরিশংকর জলদাস একুশে পদক পান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একুশে পদকপ্রাপ্তদের হাতে পদক তুলে দেন এবং মরণোত্তর একুশে পদক বিজয়ী মরহুম অধ্যাপক হালিমা খাতুনের পক্ষে তাঁর কন্যা বেগম প্রজ্ঞা লাবনী এবং পপ সম্রাট আজম খানের পক্ষে তাঁর কন্যা বেগম ইভা খান পুরস্কার গ্রহণ করেন।

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. আবু হেনা মুস্তফা কামাল স্বাগত বক্তৃতা করেন।

মন্ত্রী পরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এবং পদক বিজয়ীদের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি পাঠ করেন।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, সরকারের উপদেষ্টাবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, বিচারপতিগণ, পদস্থ সামরিক ও বেসাসরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, কবি, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, শিল্পীসহ বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকবৃন্দ, পূর্বের একুশে পদক বিজয়ী ব্যাক্তিবর্গ এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেককে ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, এককালীন দুই লাখ টাকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।

ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে সরকার ১৯৭৬ সাল থেকে প্রতিবছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এই পুরস্কার দিয়ে আসছে। এ পর্যন্ত ৪৫৭ জন সুধী এবং ৩টি প্রতিষ্ঠানকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়েছে।
সূত্র : বাসস