জামালপুরে মাতৃ, নবজাতক ও প্রজনন স্বাস্থ্য উন্নয়ন প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা

অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর। ছবি : বাংলারচিঠি ডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠি ডটকম

মাতৃমৃত্যু ও নবজাতকের মৃত্যুর হার হ্রাস করার মাধ্যমে স্থায়িত্বশীল উন্নয়ন লক্ষমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে জামালপুরে উন্নয়ন সংঘ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন কমিউনিটি বেইজড ইন্টারভেনশন ফর ইমপ্রোভিং সেক্সুয়াল, রিপ্রোডাক্টিভ হেল্থ এন্ড রাইটস ইনক্লুডিং মেটারনাল এন্ড নিউবর্ণ হেলথ (এসআরএইচআরএমএনএইচ) প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা ২০ জানুয়ারি জামালপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর।

অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাজিব কুমার সরকার। সভায় অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন ইউনিসেফ ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগীয় প্রধান ওমর ফারুক, সিভিল সার্জন চিকিৎসক গৌতম রায়, পরিবার পরিকল্পনা উপপরিচালক নিরঞ্জন বন্ধু দাম, বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেওয়ান তাজুল ইসলাম, জেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মছিরন নেছা, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সৈয়দ আবু আহম্মেদ সাফি, জামালপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহা. আখতারুজ্জামান, সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কোহিনূর বেগম, সরিষাবাড়ী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা, উন্নয়ন সংঘের নির্বাহী পরিচালক মো. রফিকুল আলম মোল্লা, ইউনিসেফ এর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা চিকিৎসক আলমগীর, যোগাযোগ ও উন্নয়ন কর্মকর্তা রওশন রহমান, ইউএনএফপিএ প্রতিনিধি আতাহার আলী প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম এবং মূল প্রকল্পের ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন উন্নয়ন সংঘের জেলা ব্যবস্থাপক লিটন চন্দ্র সরকার।

অবহিতকরণ সভায় বক্তব্য রাখেন উন্নয়ন সংঘের নির্বাহী পরিচালক মো. রফিকুল আলম মোল্লা। ছবি : বাংলারচিঠি ডটকম

সভা সূত্রে জানা যায়, এই প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে ২০২০ সালের মধ্যে স্থানীয় স্বাস্থ্য সেবা প্রক্রিয়ায় মা, নবজাতক, কিশোর, কিশোরীদের সম প্রবেশাধিকারের ক্ষেত্রে উন্নয়ন ঘটবে। সেবা প্রদানকারীদের গুনগত সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। সেবা গ্রহিতাদের স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান, পরিবার পর্যায়ে আচরণ ও অভ্যাসগত ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটবে। একই সময়ের মধ্যে স্বাস্থ্যগত তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ প্রক্রিয়া শক্তিশালী হবে এবং সেবা গ্রহীতাদের সেবা গ্রহণের আগ্রহ সৃষ্টি হবে। সরকারের টেকসই লক্ষমাত্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

ইউনিসেফ, ইউএনএফপিএ ও গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডার সহায়তায় উন্নয়ন সংঘ জেলার ৭টি উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।