জামালপুর সদরের হাটচন্দ্রায় ধানের শীষের প্রচার কেন্দ্রে হামলা

হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের হাটচন্দ্রা প্রচার কেন্দ্র। ছবি : বাংলারচিঠি ডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠি ডটকম

জামালপুর-৫ (সদর) আসনের বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর একটি প্রচার কেন্দ্রে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১৮ ডিসেম্বর দুপুরে জামালপুর পৌরসভার হাটচন্দ্রায় বিএনপির প্রচার কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। তবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার নির্দেশে একজন নির্বাহী হাকিম ঘটনার পর ওই প্রচার কেন্দ্রটি পরিদর্শন করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জামালপুর সদর আসনের আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী প্রকৌশলী মো. মোজাফফর হোসেন নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে ১৮ ডিসেম্বর সকালে জামালপুর পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের হাটচন্দ্রা এলাকায় যান নির্বাচনী প্রচারণায়। বেলা পৌনে ১২টার দিকে তাদের বহরের মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল থেকে কয়েকজন নেতাকর্মী হাটচন্দ্রা মোড়ের বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রচারকেন্দ্রে হামলা চালায়। এ সময় স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা ওই প্রচারকেন্দ্র থেকে পালিয়ে রক্ষা পান। হামলাকারীরা ওই প্রচার কেন্দ্রের ধানের শীষের পোস্টার ও ত্রিপালের ছাউনি ছিঁড়ে ফেলে এবং বেঞ্চ ভাংচুর করে।

এ ঘটনায় ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী শাহ্ মো. ওয়ারেছ আলী মামুনের সমর্থক স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপির হাটচন্দ্রা প্রচার কেন্দ্রের আহবায়ক ও ১০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. সোলায়মান এ হামলা প্রসঙ্গে বাংলারচিঠি ডটকমকে বলেন, ‘নৌকার প্রার্থীর গাড়ির বহরের নেতাকর্মীরা গাড়ি থেকে নেমেই হামলা চালায় এবং ভয়ভীতি দেখায়। সম্পূর্ণ বিনা উস্কানিতে তারা আমাদের নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধ করার উদ্দেশেই এ হামলা করেছে। আমরা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছি। একজন ম্যাজিস্ট্রেট এসে দেখে গেছেন।’

এদিকে স্থানীয় ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান বিএনপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে বাংলারচিঠি ডটকমকে বলেন, ‘আমাদের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর গাড়ির বহর থেকে হাটচন্দ্রায় বিএনপির প্রচার কেন্দ্রে কোনো হামলা বা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেনি। বৃষ্টিতে হয়তো ওই প্রচার কেন্দ্রের ত্রিপালের ছামিয়ানা খসে পড়েছে এবং পোস্টার ছিঁড়ে গেছে। এটাকে ভিন্নখাতে নেওয়ার জন্য তারা মিথ্যাচার করছে।’

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর এ ঘটনা প্রসঙ্গে বাংলারচিঠি ডটকমকে বলেন, ‘আমি ঘটনাটি শোনার সাথে সাথে সেখানে একজন ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ পাঠিয়েছি। বিএনপির পার্থীর পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগও পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’