ঢাকা ০৬:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মাহমুদপুরে বিএনপির সদস্যপদ নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু জামালপুরে নাট্যকার আব্দুল্লাহ আল মামুনের ৮৩তম জন্মদিন উদযাপিত বিচারবহির্ভূত হত্যা, চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সরিষাবাড়ীতে বিক্ষোভ মিছিল বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে জামালপুর জেলা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যা: জামালপুরে গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন বকশীগঞ্জে ৫ বছরেও উদ্বোধন হয়নি ভবন, ময়লার ভাগাড়ে পরিণত শেরপুরে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলার উদ্বোধন মাদারগঞ্জে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে ভাতিজা নিহত, কেটে গেছে চাচার শ্বাসনালী জামালপুর জেলা ফুটবল রেফারিজ অ্যাসোসিয়েশনের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত মাহমুদপুরে বিদ্যুতায়িত হয়ে লাইনম্যানের মৃত্যু

জামালপুরে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আগুন, বিএনপির মঞ্চ ভাংচুর

মাহমুদুল হাসান মুক্তা, জামালপুর ॥
জামালপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নে পাল্টাপাল্টি সভা আহ্বানকে কেন্দ্র করে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অগ্নিকাণ্ড এবং ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলনের মঞ্চ ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। ১৫ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে সেখানে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে এসব ঘটনায় ১৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা দায়ের হয়নি।

জানা গেছে, জামালপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলন উপলক্ষে ১৪ সেপ্টেম্বর সকালে স্থানীয় কুটামনি উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন মাঠে একটি মঞ্চ করা হয়। ওইদিনই স্থানীয় ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ একই স্থানে দলীয় জরুরি সভা আয়োজনের ঘোষণা দেয়। এ নিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কায় সদর থানা পুলিশ স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীদের সভার তারিখ পেছানোর কথা বললে বিএনপি ১৮ সেপ্টেম্বর সেখানে সম্মেলন আয়োজনের ঘোষণা দেয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ তাদের ১৪ সেপ্টেম্বরের  জরুরি সভা করেনি। এর একদিন পর ১৫ সেপ্টেম্বর রাত ১২টার দিকে স্থানীয় ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এর কিছুক্ষণ পর বিএনপির মঞ্চটিও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।

এ প্রসঙ্গে কেন্দুয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম কালু তাদের কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার জন্য স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীদের দায়ী করে বাংলার চিঠি ডটকমকে বলেন, ১৪ সেপ্টেম্বর আমরা এক জরুরি সভা করার জন্য লিখিতভাবে কুটামনি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ চেয়ে আবেদন করি। কিন্তু ওই স্থানে বিএনপির অনুষ্ঠানের মঞ্চ থাকায় আমরা অনুষ্ঠান করতে পারিনি। ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে বিএনপি নেতা-কর্মীরা আমাদের দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি জানান।

অপরদিকে স্থানীয় ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সাজু মিয়া তাদের মঞ্চ ভাংচুরের জন্য আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের দায়ী করে বাংলার চিঠি ডটকমকে বলেন, আমরা পুলিশ প্রশাসনের কথামতো ১৮ সেপ্টেম্বর সম্মেলনের ঘোষণা দিয়েছিলাম। ১৪ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগও সেখানে সভা করেনি। কিন্তু এর একদিন পর ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আমাদেরকে হয়রানি করার উদ্দেশেই তাদের নিজেদের কার্যালয়ে নিজেরাই আগুন দিয়েছে। এরপর তারা আমাদের মঞ্চটিও ভাংচুর করেছে।

জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাছিমুল ইসলাম ১৬ সেপ্টেম্বর এসব ঘটনা প্রসঙ্গে বাংলার চিঠি ডটকমকে বলেন, কেন্দুয়া ইউনিয়নের কুটামনি এলাকায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অগ্নিকাণ্ড ও বিএনপির মঞ্চ ভাংচুরের ঘটনায় কোনো পক্ষই থানায় কোনো অভিযোগ নিয়ে আসেনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মাহমুদপুরে বিএনপির সদস্যপদ নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু

জামালপুরে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আগুন, বিএনপির মঞ্চ ভাংচুর

আপডেট সময় ০৭:৩৯:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

মাহমুদুল হাসান মুক্তা, জামালপুর ॥
জামালপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নে পাল্টাপাল্টি সভা আহ্বানকে কেন্দ্র করে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অগ্নিকাণ্ড এবং ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলনের মঞ্চ ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। ১৫ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে সেখানে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে এসব ঘটনায় ১৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা দায়ের হয়নি।

জানা গেছে, জামালপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলন উপলক্ষে ১৪ সেপ্টেম্বর সকালে স্থানীয় কুটামনি উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন মাঠে একটি মঞ্চ করা হয়। ওইদিনই স্থানীয় ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ একই স্থানে দলীয় জরুরি সভা আয়োজনের ঘোষণা দেয়। এ নিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কায় সদর থানা পুলিশ স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীদের সভার তারিখ পেছানোর কথা বললে বিএনপি ১৮ সেপ্টেম্বর সেখানে সম্মেলন আয়োজনের ঘোষণা দেয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ তাদের ১৪ সেপ্টেম্বরের  জরুরি সভা করেনি। এর একদিন পর ১৫ সেপ্টেম্বর রাত ১২টার দিকে স্থানীয় ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এর কিছুক্ষণ পর বিএনপির মঞ্চটিও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।

এ প্রসঙ্গে কেন্দুয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম কালু তাদের কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার জন্য স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীদের দায়ী করে বাংলার চিঠি ডটকমকে বলেন, ১৪ সেপ্টেম্বর আমরা এক জরুরি সভা করার জন্য লিখিতভাবে কুটামনি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ চেয়ে আবেদন করি। কিন্তু ওই স্থানে বিএনপির অনুষ্ঠানের মঞ্চ থাকায় আমরা অনুষ্ঠান করতে পারিনি। ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে বিএনপি নেতা-কর্মীরা আমাদের দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি জানান।

অপরদিকে স্থানীয় ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সাজু মিয়া তাদের মঞ্চ ভাংচুরের জন্য আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের দায়ী করে বাংলার চিঠি ডটকমকে বলেন, আমরা পুলিশ প্রশাসনের কথামতো ১৮ সেপ্টেম্বর সম্মেলনের ঘোষণা দিয়েছিলাম। ১৪ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগও সেখানে সভা করেনি। কিন্তু এর একদিন পর ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আমাদেরকে হয়রানি করার উদ্দেশেই তাদের নিজেদের কার্যালয়ে নিজেরাই আগুন দিয়েছে। এরপর তারা আমাদের মঞ্চটিও ভাংচুর করেছে।

জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাছিমুল ইসলাম ১৬ সেপ্টেম্বর এসব ঘটনা প্রসঙ্গে বাংলার চিঠি ডটকমকে বলেন, কেন্দুয়া ইউনিয়নের কুটামনি এলাকায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অগ্নিকাণ্ড ও বিএনপির মঞ্চ ভাংচুরের ঘটনায় কোনো পক্ষই থানায় কোনো অভিযোগ নিয়ে আসেনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।