সরিষাবাড়ীতে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে পেটালেন সাবেক স্বামী

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় সন্তানের ভরণ-পোষণের খরচ চাওয়ায় তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে পেটালেন সাবেক স্বামী নজরুল ইসলাম। ২৩ নভেম্বর সকালে পৌরসভার বলারদিয়ার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জহুরা বেগম জানায়, পৌরসভার বলারদিয়ার গ্রামের আব্দুস সামাদ মাষ্টারের ছেলে নজরুল ইসলামের সাথে ১৪ বছর পূর্বে বিয়ে হয়। বিয়ের পর সংসারে একটি মেয়ে সন্তান জন্ম নেয়। তার নাম মুন্নী আক্তার (৮)। মেয়ে সন্তানটি জন্মের পর থেকেই যৌতুকলোভী হয়ে উঠে নজরুল ইসলাম। যৌতুকের টাকার দাবি পূরণ করতে না পারলেই শারীরিক র্নিযাতন চালিয়ে আসছিল। এ নিয়ে কয়েকবার গ্রাম সালিশ বৈঠক করেছে স্থানীয় মাতবরগণ। এতে কোন প্রতিকার না পেয়ে ২০১৪ সালে জহুরা বেগম বাদি হয়ে স্বামী নজরুল ইসলামকে আসামি করে আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করে। পরে ২০১৭ সালে আদালতের মাধ্য স্ত্রী-সন্তানের দায়িত্ব নিয়ে ফের ঘর-সংসার শুরু করার নামে কৌশলে জহুরা বেগমকে তালাক দেয় নজরুল ইসলাম।

দুই বছর পূর্বে স্বামী পরিত্যাক্ত হয়ে মেয়ে সন্তান মুন্নীকে নিয়ে বাবার বাড়ি ডোয়াইল ইউনিয়নের বিলবালিয়া গ্রামের আবুল হোসেনের ঘরে ফিরে আসে জহুরা বেগম। এর পর জহুরা বেগম ও তার মেয়ে মুন্নীকে পাল-পুষ করা আবুল হোসেনের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় স্থানীয় গ্রামের মাতবরগণের সাথে কথা বলেন জহুরা বেগম।

মাতবরগণের পরামর্শে ২৩ নভেম্বর সকালে মেয়ে মুন্নীকে নিয়ে গ্রামের স্থানীয় একটি বাজারে নজরুল ইসলামের সাথে সন্তানের ভরণ-পোষণের দাবি নিয়ে দেখা করতে যায় জহুরা বেগম। এ সময় জহুরা বেগম মেয়ে মুন্নীর ভরণ-পোষণের জন্য খরচ দাবি করে এবং মেয়ে মুন্নীকে নজরুলের কাছে রাখার কথা জানায়। এ নিয়ে জহুরা বেগম ও সাবেক স্বামী নজরুল ইসলামের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরুর এক পর্যায়ে বাজারের মধ্যে জন সাধারণের উপস্থিতিতে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে বেধরক মারধর করে। পরে বাজারের লোকজন জহুরা বেগমকে উদ্ধার করে সরিষাবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় জহুরা বেগম সুস্থ্য হয়ে নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করবে বলেও তিনি জানান।

এ ব্যাপারে নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা অস্বীকার করে বলেন, মেয়ে মুন্নীকে আমার কাছে রেখে দেওয়ার জন্য জহুরা বেগম এসেছিল। কথা কাটাকাটি হয়েছে তার সাথে। মারধরের কোন ঘটনা ঘটেনি।