জামালপুরে মহাত্মা গান্ধীর ১৫০তম জন্মজয়ন্তী উদযাপিত

মহাত্মা গান্ধীর ১৫০তম জন্মজয়ন্তী ও বিশ্ব অহিংসা দিবসের আলোচনা সভায় অতিথিবৃন্দ। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

বিশেষ প্রতিনিধি, জামালপুর
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরে মহাত্মা গান্ধীর ১৫০তম জন্মজয়ন্তী ও বিশ্ব অহিংসা দিবস উদযাপন করা হয়েছে। ২ অক্টোবর জামালপুরে মেলান্দহ উপজেলার কাপাসহাটিয়ায় মুক্তিসংগ্রাম জাদুঘর মিলনায়তনে এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও ছাত্র-ছাত্রীদের জ্ঞান-জিজ্ঞাসা প্রতিযোগীতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। জ্ঞান-জিজ্ঞাসা প্রতিযোগীতায় কেন্দুয়া ইউনিয়নের বাংলাদেশ উচ্চ বিদ্যালয়ের দেড়শতাধিক শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে।

অনুষ্ঠানে আলোচনা সভায় ভারতীয় দূতাবাসের বাণিজ্য বিভাগের দ্বিতীয় সচিব ড. প্রেমেশ ভুশাল ও তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের দ্বিতীয় সচিব দ্বিপ্তী এলাঙ্গহাট, জামালপুর জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, বাংলাদেশ ভারত মৈত্রী সমিতি শেরপুর শাখার সহ-সভাপতি রাজিয়া সামাদ, মুক্তিযোদ্ধা সুজাত আলী ফকির, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেকুজ্জামান প্রদীপ, শিক্ষক নেতা আমির উদ্দিন, সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের সহযোগী অধ্যাপক স্বরূপ কাহালী, কবি ও সাংবাদিক সাযযাদ আনসারী, প্রধান শিক্ষক আলতাফুর রহমান ও হিল্লোল সরকার প্রমুখ।

বক্তারা তাদের বক্তব্যে মহাত্মা গান্ধীর জীবন ও আদর্শ তুলে ধরে বলেন, মহাত্মা গান্ধী তার জীবনব্যাপী অসাম্প্রদায়িক ভেদাভেদহীন সমমর্যাদার সম্পন্ন একটি মানব সমাজের জন্য অহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে লড়াই করে গেছেন। তাঁর জীবন ও কর্ম শুধু উপমহাদেশই নয় এই হিংসার আগুনে পোড়া সারাবিশ্বে আজ ছড়িয়ে দেবার প্রয়াস নিয়েছে বিভিন্ন জাতি রাষ্ট্র। তাই জাতিসংঘ তার জন্মদিনকে বিশ্ব অহিংস দিবস হিসেবে ঘোষনা করেছে। তাই প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ২ অক্টোবর সারা পৃথিবীতে অহিংস দিবস পালন করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পেশাজিবীর বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সঙ্গীত ও দেশাত্ববোধক গান পরিবেশন করেন বিশিষ্ট কন্ঠশিল্পী মাহবুব আলম রতন ও তার দল। আলোচনা শেষে জ্ঞান-জিজ্ঞাসা প্রতিযোগীতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার তুলে অতিথিবৃন্দ।