উত্তর কোরীয় নেতা কিম হাইপারসনিক মিসাইল ইঞ্জিন পরীক্ষা তত্ত্বাবধান করেছেন : রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক :

উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন একটি ‘নতুন ধরণের মাঝারি পাল্লার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র’র জন্য কঠিন-জ্বালানী ইঞ্জিনের সফল পরীক্ষা তদারকি করেছেন। পিয়ংইয়ংয়ের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ২০ মার্চ এ খবর জানিয়েছে।

উত্তর কোরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা ‘কেসিএনএ’ জানিয়েছে, ১৯ মার্চ দেশের উত্তর-পশ্চিমে সোহাই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে উত্তরের ক্ষেপণাস্ত্র প্রশাসন এই পরীক্ষাটি করেছে।

কেসিএনএ জানিয়েছে, ‘নতুন ধরণের মাঝারি পাল্লার হাইপারসনিক মিসাইলের জন্য কঠিন-জ্বালানী ইঞ্জিনের অন্য একটি নতুন কৌশলগত গ্রাউন্ড জেট পরীক্ষা করেছে।’

আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের কথা উল্লেখ করে উত্তর কোরিয়ার নেতা বলেন, ‘এই অস্ত্র ব্যবস্থার সামরিক কৌশলগত আইসিবিএম-এর মতোই গুরুত্বপূর্ণ।’

পিয়ংইয়ং গত বছরের শেষের দিকে বলেছিল, এটি তাদের মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য একটি নতুন ধরণের কঠিন জ্বালানী ইঞ্জিনের একাধিক স্থল পরীক্ষা পরিচালনা করেছে।

পিয়ংইয়ংয়ের সর্বশেষ ঘোষণাটি এসেছে উত্তর কোরিয়ার এক দিন পর যখন কিম ‘শত্রুর রাজধানী ধ্বংস করার জন্য নিখুঁত প্রস্তুতির’ ওপর জোর দিয়ে ‘নতুন-সজ্জিত সুপার-লার্জ’ একাধিক রকেট লাঞ্চারের মহড়ার তদারকি করেছেন।

আরও একটি প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত কঠিন-জ্বালানি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করা কিমের জন্য দীর্ঘদিন ধরে একটি মূল লক্ষ্য ছিল।

উত্তর কোরিয়া দাবি করেছে গত বছর যে এটি সফলভাবে তার প্রথম কঠিন-জ্বালানি আইসিবিএম পরীক্ষা করেছে এটাকে দেশের পারমাণবিক পাল্টা আক্রমণ সক্ষমতার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে স্বাগত জানিয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তরল-জ্বালানি অস্ত্রের তুলনায় কঠিন-জ্বালানি ক্ষেপণাস্ত্রে সাধারণত উচ্চস্তরের কর্মক্ষম স্বাচ্ছন্দ্য এবং নিরাপত্তা থাকে।

সলিড-ফুয়েল ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে উৎক্ষেপণের আগে জ্বালানীর প্রয়োজন হয় না। এমনকী এগুলোকে শত্রু পক্ষের খুঁজে পাওয়া এবং ধ্বংস করা কঠিন করে তোলে। তাছাড়া এসব মিসাইল দ্রুত ব্যবহার ও করা যায়।