মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন দিয়ে সংসদকে সচল করা সময়ের দাবি : হারুন হাবীব

দেওয়ানগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের মহাসচিব হারুন হাবীব।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর, বাংলারচিঠিডটকম

বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও দেশের বরেণ্য লেখক-কলামিষ্ট হারুন হাবীব বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ধারাবাহিক সরকার দেশের সকল সূচকে বিস্ময়কর উন্নয়ন ঘটিয়েছে এবং মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বগাঁথা ও ইতিহাস পুনরুদ্ধার করে ঐতিহাসিক জাতীয় দায়িত্ব পালন করেছে ।

৫ মার্চ দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্স ভবনে আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের মহাসচিব হারুন হাবীব।

তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় জাতিকে স্বাধীনতাবিরোধীদের হাত থেকে রক্ষা করতে বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ যেমন বীরত্বপূর্ণ আত্মত্যাগ করেছেন তেমনি পরবর্তী সময়ে দেশ গঠনেও তাঁরা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন। সরকার তাদের অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বিভিন্নভাবে সম্মানিত করেছেন। কিন্তু বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ বিগত ১০ বছর থেকে সরকারি আমলার অধীনে পরিচালিত হয়ে আসছে- যা মঙ্গলজনক নয় ।

২০১৪ সাল থেকে দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের জাতীয় সংগঠন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কোনো নির্বাচন নেই। তখন থেকে সারাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠনটি সরকারি আমলাদ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে।- বিষয়টি দুঃখজনক বলে হারুন হাবীব মন্তব্য করেন ।

দেওয়ানগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের মহাসচিব হারুন হাবীব।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

তিনি বলেন, বিগত বছরে সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠনের নির্বাচন করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে তফসিল ঘোষণা করলেও শেষ পর্যন্ত তা আবারও স্থগিত করা হয়েছে। এ নিয়ে সারা দেশে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নতুন সরকার ক্ষমতাসীন হয়েছে, এখন উচিৎ যত দ্রুত সম্ভব মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে নির্বাচিত সংসদে পরিণত করা। যাতে করে তাদের বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ নিজেরাই সংসদের কার্যাবলী সম্পাদন করতে পারেন ।

সমাবেশে মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র ও জয় বাংলা পত্রিকার রণাঙ্গন সাংবাদিক হারুন হাবীব আরো জানান, তিনি দেওয়ানগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্স ভবনে একটি ছোট আকারের আঞ্চলিক মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর গড়ে তুলবেন, এতে তাঁর তোলা ১১ নম্বর সেক্টরের মুক্তিযুদ্ধের ছবিসহ বহুবিধ স্মারক ও বই-পুস্তক প্রদর্শিত হবে। এসব স্মারক নতুন প্রজন্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি নতুন প্রজন্মের আগ্রহ বাড়াতে সক্ষম হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. তারিকুজ্জামান তারেক।

মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে আব্দুল কাদের, আব্দুস সামাদ, মো. হাসমত আলী, আহসান হাবিব, মো. আব্দুল খালেক, প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, নূর মোহাম্মদ নুরু, আহসানুল করিম, আব্দুর রাজ্জাক, মো. হোসেন আলী, মো. বদিউজ্জামান, হযরত আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।