হিজড়া জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে মতবিনিময় সভা

হিজড়াদের উন্নয়নে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুর জেলার হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবিকার নিরাপত্তা ও সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে তাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্পে সম্পৃক্ত অংশীজনদের সাথে ৫ মার্চ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম।

উন্নয়ন সংঘের ডিটিআরসির শেওলা সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভা সঞ্চালনা করেন হিজড়া জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যবস্থাপক লিটন সরকার।

সভায় অন্যান্যের মাঝে আলোচনায় অংশ নেন জামালপুর পৌরসভার কাউন্সিলর সাইদা আক্তার, আইনজীবী মাহফুজা সুলতানা সাথী, আইনজীবী নুরুজ্জামান, শিক্ষক আজিমুন্নাহার শেলী, ইমাম মো. নজরুল ইসলাম, হিজড়া জনগোষ্ঠীর সদস্য চন্দ্রা আক্তার, হিজড়া সদস্য আনজু, সাংবাদিক তানভীর হীরা, পুরোহিত সুকান্ত চক্রবর্ত্তী প্রমুখ।

জানা যায়, দেশের সর্ববৃহৎ স্টিল কোম্পানি বিএসআরএম এর আর্থিক সহায়তায় উন্নয়ন সংঘের মাধ্যমে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের আওতায় জামালপুরে ২৬০ জন হিজড়া সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মতবিনিময় সভা সূত্রে জানা যায় বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ আয়োজনের মাধ্যমে আয়মূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্তকরা, প্রতিটি প্রকল্প অংশগ্রহণকারীদের জন্য পারিবারিক উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং ব্যবসা পরিকল্পনা প্রণয়ন করা, পারিবারিক উন্নয়নের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদানসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে। ইতিমধ্যে কারিগরি প্রশিক্ষণ দিয়ে ১৫০ জনকে বিনাসুদে বিভিন্ন ট্রেডে ঋণ দেওয়া হয়েছে। তারা যথাযথ কাজে টাকা বিনিয়োগ করে সফলতার পথে অগ্রসর হচ্ছে বলে জানা যায়।

আলোচকরা বলেন, হিজড়াদের উন্নয়নের মূলস্রোতধারায় নিয়ে আসতে সমাজের বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধিরা তাদের স্ব স্ব অবস্থানকে সহযোগিতা করতে হবে। হিজড়াদের মানুষ হিসেবে গণ্য করে মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, সরকার যদি হিজড়া কল্যাণ বোর্ড গঠন করে তাদের বিভিন্ন দক্ষতা উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেন তাহলে তাদের সামাজিক নিরাপত্তা ও মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে।

উপস্থিত অংশীজনরা সকল ক্ষেত্রে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা, তাদের আচরণ পরিবর্তন করতে এবং বৈষম্য নিরসনের পাশাপাশি হিজড়াদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখার অঙ্গীকার করেন।