হজের নিবন্ধনের তারিখ পরিবর্তন করতে চাই না : ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক

জামালপুরে হজের নিবন্ধনের সময় না বাড়ানো প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম

হজযাত্রীদের নিবন্ধনের সময়সীমা না বাড়ানো প্রসঙ্গে ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, ১৮ জানুয়ারি হজের নিবন্ধন শেষ হয়েছে। আমরা হজ এজেন্সি অ্যাসোসিয়েশনের (হাব) সাথে সাথে গত পরশুদিন মিটিং করেছি। তাদেরকে আল্টিমেটাম দিয়েছি, ফারদার আমরা এটা (সময় বাড়ানো) আর করতে চাই না। বাংলাদেশ সব দিক দিয়ে যখন এগিয়ে যাচ্ছে, তখন আমরা আর পিছিয়ে থাকতে চাই না। অতএব আমরা হজের নিবন্ধনের তারিখ পরিবর্তন করতে চাই না।

২৩ জানুয়ারি সকালে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত শেষে হজের নিবন্ধনের সময়সীমা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন জামালপুর-২ (ইসলামপুর) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

হজযাত্রীদের নিবন্ধন নিয়ে হজ এজেন্সি মালিকদের দোষারোপ করে ধর্মমন্ত্রী বলেন, একদিকে সার্ভার জটিলতাসহ নানা কারণে এখনো প্রায় ৭৪ হাজার মুসুল্লি নিবন্ধন করতে পারেনি। বাংলাদেশের মানুষ সব কাজ ঢিলেঢালাভাবে করতে করতে এমন পর্যায়ে পৌঁছায় পরে আর সময় থাকে না। এবারই প্রথম না, প্রতি বছরই বাংলাদেশের এজেন্সি মালিকরা এই কাজটি (সময় বিলম্ব) করে থাকেন। তারা সব সময় চিন্তা করেন শেষ সময়ে গিয়ে কম ভাড়ায় বাসা পাই কিনা, তারা এই পলিসি এডাপ্ট করে। যে কারণে আমরা এই পলিসি বন্ধ করার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

হজ এজেন্সি মালিকদের দোষলেও তিনি তার বক্তব্যের শেষে সৌদি সরকারের কাছে সময় পরিবর্তন বিষয়ে কথা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান ধর্মমন্ত্রী। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে আমরা সৌদি সরকারের সাথে কথা বলেছি। যদি তারা সময় পরিবর্তনের জন্য দুই-চার দিনের জন্য সুযোগ দেয়, আমরাও সময় বাড়ানোর জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। নচেত আমাদের এই পর্যন্তই শেষ।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে শপথ এবং ধর্মমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর ২৩ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো তিনি জামালপুর সফরে আসেন। তিনি ২৩ জানুয়ারি বেলা ১১টার দিকে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় চত্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে দলীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ ও সহ-সভাপতি ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী ধর্মমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।

পরে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে জেলার সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন ধর্মমন্ত্রী। এতে সভাপতিত্বক করেন জেলা প্রশাসক মো. শফিউর রহমান। পরে বিকেলে তার নির্বাচনী এলাকা ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।