১৬ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে পবিস কর্মচারীদের কর্মবিরতি অব্যাহত

১৬ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতির আন্দোলন। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

মাহমুদুল হাসান মুক্তা
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মধ্যে অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নসহ ১৬টি দাবিতে ৫ম দিনের মতো ৯ মে দিনব্যাপী বেলটিয়া এলাকায় জামালপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রধান কার্যালয় প্রাঙ্গণে সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মবিরতি পালন করেছে।বিদ্যুৎব্যবস্থা সচল রেখেস তারা এ কর্মবিরতি পালন করেন।

৯ মে সকাল ১০টায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রধান কার্যালয় প্রাঙ্গণে কর্মচারীরা ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়ান। এ সময় তারা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায়, বৈষম্যের স্থান নাই, বৈষম্য নিপাত যাক, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি মুক্তি পাকসহ বিভিন্ন দাবিতে স্লোগান দেন।

এ সময় বক্তব্য রাখেন জামালপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লাইনম্যান আতাউর রহমান ও রাকিবুল হাসান, ডাটা এন্টি অপারেটর নাঈমা সিদ্দিকী, কানামুনা (কাজ নাই মুজুরি নাই) প্রকল্পের বিলিং সহকারী আইরিন আক্তার, মিটার রিডার কাম মেসেঞ্জার (চুক্তিভিত্তিক) আসাদুজ্জামান আসাদ ও ফজলুল হক, লাইন ক্রু হৃদয় সূত্রধর ও সুখরঞ্জন রায়।

জানা গেছে, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদমর্যাদা (সরকার ঘোষিত গ্রেডিং ১-২০) ৬ মাস পিছিয়ে পে-স্কেল ও ৫% বিশেষ প্রণোদনা প্রদান, এপিও বোনাস সমহারে না দেওয়া লাইনম্যানদের নির্দিষ্ট কর্মঘন্টা ও কাজের জন্য প্রয়োজনীয় লাইনম্যান ও বিলিং সহকারি পদায়ন না করা, যথাসময়ে পদন্নোতি না করা, লাইনক্রু লেভেল-১ ও মিটার রিডার কাম মেসেঞ্জার (চুক্তিভিত্তিক), বিলিং সহকারি (কানামুনা) চাকরি নিয়মিত না করা স্মারকলিপিতে অংশগ্রহণ করায় ভোলা পবিস-এর এজিএম আইটি ও এজিএম অর্থকে সাময়িক বরখাস্ত, সিরাজগঞ্জ পবিস-২ এর ডিজিএম (কারিগরি) ও এজিএম আইটি-কে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে সংযুক্ত করায়, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের শোষণ, নির্যাতন, নিপীড়ন বন্ধ ও ভবিষ্যতে আধুনিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা গড়ার লক্ষ্যে বাপবিবো/পবিস এ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নের জন্যই এই কর্মবিরতি পালন করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মচারীরা।

জেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় আড়াইশ কর্মচারী এই কর্মবিরতিতে যোগ দেন। পরে তারা ১৬টি দাবি ও বৈষম্যগুলো উত্থাপন করেন।