জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

জামালপুরে আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. শফিউর রহমান। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম

হকারদের পুনর্বাসন, ইজিবাইক নিয়ন্ত্রণ, নির্বাচনোত্তর সহিংসতা বন্ধ করা, বেপোরোয়া মোটরসাইকেল চালানো রোধ করা, দ্রব্যমূল্যের নিয়ন্ত্রণ, ট্রেনের টিকিট কালোবাজারী বন্ধ, রেলক্রসিংয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, মাদক, যানজটমুক্ত শহর প্রতিষ্ঠা, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টিতে সকলের সহায়তা কামনা করে ১৪ জানুয়ারি জামালপুরে অনুষ্ঠিত হয় জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. শফিউর রহমান।

জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মাঝে আলোচনায় অংশ নেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আনোয়ার, সিভিল সার্জন চিকিৎসক প্রণয় কান্তি দাস, অতিরিক্ত জেলা নির্বাহী হাকিম শীতেষ চন্দ্র সরকার, জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক চিকিৎসক মাহফুজুর রহমান, এনএসআই এর উপপরিচালক বোরহান উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সৈয়দ আতিকুর রহমান ছানা, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুজায়াত আলী ফকির, জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদা, জামালপুর জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আইনজীবী ইউসুফ আলী, সাংবাদিক এম এ জলিল, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম প্রমুখ।

সভায় ৭ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাগণসহ জেলার সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরের প্রধানগণ, এনজিও প্রতিনিধি ও অন্যান্য সদস্যগণ অংশ নেন।

সভায় সম্প্রতি জামালপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় একাধিক মর্মান্তিক মৃত্যু, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পাশাপাশি হকারদের জন্য আলাদা মার্কেট প্রতিষ্ঠা, মাদক নিয়ন্ত্রণ, নারী, শিশু নির্যাতন, ধর্ষণের মাত্রা বৃদ্ধি রোধ করাসহ সকল অসামাজিক কার্যক্রম বন্ধের অঙ্গীকার করা হয়। যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে সামাজিক জাগরণ সৃষ্টি করতে সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে সবাই অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ, ইজিবাইক নিয়ন্ত্রণ, মাদক, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়। জাতীয় সংসদ নির্বাচন উৎসবমুখর পরিবেশে এবং শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখায় জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো হয়। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন নগর প্রতিষ্ঠাসহ সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে বহুমাত্রিক কার্যক্রম গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।