গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার নতুন লক্ষ্য মানি এক্সচেঞ্জ স্টোর

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক :

ফিলিস্তিনে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা থেকে বাদ যায়নি শরণার্থী শিবির, হাসপাতাল, বেসরকারী সংস্থা পরিচালিত স্কুল, মসজিদ, শপিংমলসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এবার তাদের রামাল্লা অভিযানে লক্ষ্য হতে পারে মানি এক্সচেঞ্জ স্টোর। আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এক গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্য থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদক ইমরান খান জানিয়েছেন, মানি এক্সচেঞ্জ স্টোর হচ্ছে ফিলিস্তিনি শহর রামাল্লায় ইসরায়েলের অভিযানের নতুন লক্ষ্যবস্তু। তবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমন হামলার নেপথ্য কারণ জানা যায়নি।

প্রতিবেদক আরও জানিয়েছেন, তারা জানতে পেরেছেন এসব আর্থিক ইউনিট থেকে সিসিটিভি খুলে ফেলেছে ইসরায়েলি সেনারা। এমনকি এসব ইউনিটে যে পরিমাণ অর্থের লেনদেন হয় সেই হিসাবও হাতিয়ে নিয়ে গেছে ইসরায়েলি সেনারা।

ধারণা করা হচ্ছে এসব মানি এক্সচেঞ্জের শপে ব্যাপক সহিংসতার অংশ হিসেবে আগুন ও বিস্ফোরণ ঘটানো হবে। ইতোমধ্যে তারা সেখানে ঘরে ঘরে তল্লাশি চালাচ্ছে ও ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িত হচ্ছে।

ফিলিস্তিনের বার্তা সংস্থা ওয়াফার বরাত দিয়ে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৭ ডিসেম্বর মধ্য গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর স্থল অভিযান তীব্রতর ও বিস্তৃত হয়েছে। এ ইসরায়েলি হামলায় গাজার নুসিরাত শরণার্থী শিবিরে অন্তত সাত ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

এছাড়া স্থানীয় চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, আল-মাগাজিতে বিমান হামলায় পাঁচজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের এল আমাল হাসপাতালের কাছে ভয়াবহ ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ২০ জন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন। খবর আল জাজিরা।

গত ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় নিহতদের সংখ্যা ২১ হাজার ছাড়িয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে হাজারো বাসিন্দা কেন্দ্রীয় গাজা ও খান ইউনিস ছেড়ে পালিয়েছে।