ইউরেনিয়াম উৎপাদন বাড়িয়েছে ইরান, উদ্বেগ যুক্তরাষ্ট্রের

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক :
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গত সপ্তাহে তেহরানের পারমাণবিক কার্যক্রম বৃদ্ধি নিয়ে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) প্রতিবেদন প্রকাশের পর মঙ্গলবার এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে হোয়াইট হাউজ।

আইএইএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহারযোগ্য ইউরেনিয়ামের উৎপাদন বাড়িয়েছে তেহরান। সেই সঙ্গে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রযুক্তিতে তৈরি অস্ত্রের উত্পাদনও বাড়িয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। বিষয়টিকে বিশ্বশান্তির জন্য হুমকি হিসেবে দেখছে যুক্তরাষ্ট্র।

এ বিষয়ে হোয়াইট হাউজের এক মুখপাত্র বলেন, বিষয়টি এমন সময় আমাদের নজরে এলো, যখন মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়া বাহিনীগুলোর তৎপরতা বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্প্রতি এসব বাহিনী ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি ড্রোন হামলা চালিয়েছে। অন্যদিকে, লোহিতসাগরে ইসরাইল সমর্থিত জাহাজ লক্ষ্য করে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত বিদ্রোহীগোষ্ঠী হুতি।

জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষণ সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত কয়েক মাসে ইরান অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহারযোগ্য ইউরেনিয়ামের উৎপাদন যে হারে বাড়িয়েছে, তা চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ের তুলনায় অনেক বেশি।

সংস্থাটি আরো বলেছে, গত নভেম্বর মাসের শেষ থেকে ইরান প্রতি মাসে প্রায় ৯ কেজি হারে পরিশোধিত ইউরোনিয়ামের উৎপাদন ৬০ শতাংশ বাড়িয়েছে, যা চলতি বছরের জুন থেকে প্রায় ৩ কেজি বেশি। আইএইএ বলছে, ২০২৩ সালের প্রথমার্ধে ইরান প্রতি মাসে ৯ কেজি পরিশোধিত ইউরেনিয়াম উৎপাদন করত। বছরের শেষদিকে এসে সেই উত্পাদনমাত্রা আবার আগের পর্যায়ে ফিরে গেছে।

তবে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার এসব তথ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ প্রত্যাখ্যান করেছেন ইরানের পারমাণবিক শক্তি কর্মসূচির প্রধান মোহাম্মদ এসলামি। বুধবার তিনি বলেন, ইরান নতুন কিছু করেনি, যা করছে তা আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনেই করছে। সাধারণত পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে ৯০ ভাগ পরিশোধিত ইউরেনিয়ামের প্রয়োজন হয়। তবে পারমাণবিক বিদ্যুৎকন্দের জন্য ৩ দশমিক ৬৭ ভাগ পরিশোধিত ইউরেনিয়ামই যথেষ্ট।