অভিবাসন খাতের উন্নয়নে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে : জেলা প্রশাসক

বক্তব্য রাখেন জামালপুরের জেলা প্রশাসক মো. ইমরান আহমেদ। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

মাহমুদুল হাসান মুক্তা, নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম: জামালপুরের জেলা প্রশাসক মো. ইমরান আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশের অনেক মানুষ কাজের জন্য বিদেশ যায়। কিন্তু তাদের অনেকেই সচেতন নন। অনেকে দক্ষ হয়ে যান না। ফলে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য আসে না। তাই দক্ষ হয়ে ভাষা শিখে, সরকারি নিয়ম-কানুন মেনে বিদেশ যাওয়া উচিত। এজন্য তৃণমূল পর্যায়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। বিশেষ করে নারী অভিবাসনের ক্ষেত্রে অনেক বেশি সচেতনতা দরকার। জনপ্রতিনিধিদের এসব কাজে যুক্ত হতে হবে। এ কাজের দায়িত্বে থাকা সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও আরো বেশি মানুষের কাছে যেতে হবে।

১১ সেপ্টেম্বর জামালপুর জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক ইমরান আহমেদ এসব কথা বলেন। বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম অভিবাসনে সুশাসন নিশ্চিতকরণ ও বিদেশ-ফেরতদের পুনরেকত্রীকরণ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।

কোভিডের পরে ক্ষতিগ্রস্ত বিদেশ ফেরতদের জন্য ক্লাইমেট ব্রিজ ফান্ড ও কেএফডবলিউ ব্যাংকের অর্থায়নে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম ‘স্ট্রেন্দেনিং ইকোনমিক রিকভারি ক্যাপাসিটি অব ক্লাইমেট ভালনারেবল নিউ-পুওর’ শীর্ষক এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক বিদেশগামীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ কর্মী প্রেরণে টিটিসি এবং জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানান।

ব্র্যাকের নানা কাজের উদ্যোগের প্রশংসা করে তিনি বলেন, আমরা আশা করছি ব্র্যাকের পাশাপাশি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও তাদের অবস্থান থেকে একযোগে কাজ করে যাবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জামালপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মোক্তার হোসেন। অভিবাসন ও বিদেশ ফেরতদের অবস্থা এবং জামালপুরের সার্বিক চিত্র তুলে ধরেন ব্র্যাকের সহযোগী পরিচালক (মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম এন্ড ইয়ুথ প্ল্যাটফর্ম) শরিফুল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামালপুর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি রেজাউল করিম রেজনু।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সমাজসেবক সৈয়দ আতিকুর রহমান ছানা, জামালপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) প্রকৌশলী মোহাম্মদ হারুন-আল মামুন, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক উত্তম কুমার দেব প্রমুখ।

এছাড়া সরকারি ও বেসরকারি নানা দপ্তরের কর্মকর্তা ও সাংবাদিকসহ বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে মূল্যবান মতামত ব্যক্ত করেন।