সরিষাবাড়ীতে সেই পাগলা শিয়ালটিকে পিটিয়ে মেরেছে গ্রামবাসী

পোগলদিঘা ইউনিয়নের সাইঞ্চারপাড় গ্রামে আব্দুল হাই সরদারের বাড়িতে শিয়ালটিকে পিটিয়ে মারা হয়। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় ২৬ জনকে কামড়ানোর পর সেই পাগলা শিয়ালটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে গ্রামবাসী। ২৬ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের সাইঞ্চারপাড় গ্রামে আব্দুল হাই সরদারের বাড়িতে শিয়ালটিকে পিটিয়ে মারা হয়। এতে উৎকন্ঠা থেকে রেহাই পেলো এলাকাবাসী।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের পুঠিয়ারপাড়, বগারপাড় ও সাইঞ্চারপাড় তিন গ্রামে ২৬ অক্টোবর দুপুর থেকে মানুষ দেখলেই ধান ক্ষেত থেকে দৌঁড়ে এসে পাগলা শিয়ালটি হামলা চালিয়ে কামড়াতে থাকে। একের পর এক হামলা চালিয়ে নারী-পুরুষ শিশুসহ তাদের শরীরের মাংস তুলে নিয়ে আবারো ধান ক্ষেতে লুকিয়ে পড়ে। শিয়ালটি ওই দিন রাত ৮টা পর্যন্ত ২৬ জনকে কামড়িয়ে আহত করে। এর ফলে তিন গ্রামের মানুষের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আতংকিত গ্রামের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে লাঠিসোটা নিয়ে শিয়ালটি মারার জন্য পিছু নেয়। এক পর্যায়ে রাত ৮টার দিকে শিয়ালটিকে পিটিয়ে মারতে সক্ষম হয় গ্রামবাসী। আহতদের মধ্যে গুরুতর লাইলী বেগম নামে এক গৃহবধূকে ২৬ অক্টোবর রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আব্দুল হাই সরদার জানান, পাগলা শিয়ালটি ২৬ অক্টোবর দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত ২৬ জন নারী-পুরুষ শিশুসহ কামড়ায়। আমি এশার নামাযের প্রস্তুতি নিতে হাতের কাছে একটি লাঠি রেখে ওযু করতে ছিলাম। শিয়ালটি আমার ওপর হামলা চালাতে আসে। এ সময় পাগলা শিয়ালটিকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মারতে সক্ষম হই।

উল্লেখ্য, ২৬ অক্টোবর দুপুরে উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের পুঠিয়ারপাড় গ্রামের কনিকা বেগম নামে এক গৃহবধূ বাড়ির আঙ্গিনায় কাজ করছিলেন। এ সময় বাড়ির পাশে ধান ক্ষেত থেকে পিছন দিক দিয়ে অর্তকীতভাবে এসে একটি শিয়াল তার শরীরে কামড় দেয় এবং পা থেকে মাংস নিয়ে চলে যায়। এরপর পুঠিয়ারপাড়, বগারপাড় ও প্রতিবেশী সাইঞ্চারপাড় তিন গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে ঢুকে নারী-পুরুষ শিশুসহ সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৬ জনকে কামড়ায় এবং রাতে আরো ১০ জনকে কামড়িয়ে আহত করে। গ্রামবাসী শিয়ালটির কামড় থেকে রক্ষার জন্য চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। শিয়ালটিকে পরে আর খোঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এ নিয়ে গ্রামবাসীর মাধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছিল। পরে রাতে গ্রামবাসী পাগলা শিয়ালটিকে মেরে ফেলতে সক্ষম হন।