মেলান্দহে মা মেয়ে বেদম মারধরের শিকার, থানায় মামলা

মেলান্দহে মারধরের শিকার মা ও মেয়ে। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

তুচ্ছ ঘটনায় কলেজ ছাত্রী রাবেয়া সুলতানা স্বপ্না ও তার মাকে মারধরের পর বাড়ি ঘেরাও করে রাখে হাসমত আলীর নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা। খবর পেয়ে অবরুদ্ধ পরিবারটিকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে মেলান্দহ থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ঘটনাটি ঘটেছে ২৬ অক্টোবর বিকালে জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার নয়ানগর ইউনিয়নের আলোকদিয়া গ্রামে। ওইদিন রাত ১২টায় কলেজ ছাত্রীর মা মহুয়া বেগম বাদী হয়ে মেলান্দহ থানায় হাসমত আলীকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের নামে মামলা দায়ের করেন।

মামলা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সম্মান শেষবর্ষের ছাত্রী রাবেয়া সুলতানা স্বপ্নার বাবা কালাম মোল্লার সাথে প্রতিবেশী হাসমত আলীর দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এর আগেও হাসমত আলীর পরিবার বেশ কয়েকবার কালাম মোল্লার পরিবারের লোকজনদের মারধর করেছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বপ্না। ২৬ অক্টোবর দুপুরে কালাম মোল্লার বাগানের গাছপালা হাসমতের বেঁধে রাখা গরু-ছাগলে নষ্ট করলে সেখান থেকে সরিয়ে নিতে বলে কালাম মোল্লার স্ত্রী মহুয়া বেগম। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে মহুয়া বেগমকে মারধর করে হাসমত ও তার ভাইয়ের পরিবারের লোকজন। মাকে প্রতিপক্ষদের হাত থেকে উদ্ধার করতে গেলে স্বপ্নাকেও মারধর করে তারা। এতে মা মেয়ে দুজনেই গুরুতর আহত হয়। দীর্ঘক্ষণ অজ্ঞান অবস্থায় থাকার পর স্বপ্না ও তার মাকে উদ্ধার করে মেলান্দহ হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা। মেলান্দহ হাসপাতাল থেকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় তাদের। হাসপাতালে ভর্তি না করে জরুরি বিভাগ থেকে দায়সারা চিকিৎসা করে তাদের বিদায় দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এ ঘটনায় ২৬ অক্টোবর রাত ১২টার দিকে ৬ জনকে আসামি করে মেলান্দহ থানায় মামলা করেন স্বপ্নার মা মহুয়া বেগম।

অপরদিকে স্বপ্না বেগমের পরিবারের ৪ জনকে আসামি করে হাসমত আলীর পরিবার মিথ্যা মামলা করেন বলে অভিযোগ করেছে স্বপ্নার বাবা মো. কালাম মোল্লা। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিবাদ আরও ঘনীভূত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল করিম জানান, মারধরের ঘটনা শোনার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারি আহতরা হাসপাতালে গেছেন। রাতে দু’পক্ষই মামলা করেছেন। এ ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।

এদিকে মানবাধিকারকর্মী জাহাঙ্গীর সেলিম বাংলারচিঠিডটকমকে ক্ষোভের সাথে বলেন, থানা, হাসপাতাল যেখানেই গেছেন ভূক্তভোগী স্বপ্না ও তার মা স্বাভাবিক আচরণ পাননি। তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।