মির্জা আজম এমপির প্রচেষ্টায় যানজট মুক্ত করতে চারলেন হচ্ছে জামালপুরের প্রধান সড়ক

মির্জা আজম

বিশেষ প্রতিনিধি, জামালপুর
বাংলারচিঠিডটকম

রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের সাথে জামালপুর জেলার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নয়ন হতে যাচ্ছে। সম্প্রতি সাবেক প্রতিমন্ত্রী সংসদ সদস্য মির্জা আজমের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতায় জামালপুর শহরের যানজট নিরসনে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প তালিকায় যুক্ত হয়েছে।

ব্রিটিশ আমলে প্রতিষ্ঠিত ছোট্ট পৌর শহর জামালপুর কালের পরিক্রমায় আজ জেলা শহরে পরিণত হয়েছে। দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এর কলেবর ও জনসংখ্যা। ফলে নাগরিক সুবিধা ক্রমেই সংকুচিত হয়ে আসছে। এই শহরের সম্মানিত নাগরিকবৃন্দ প্রতিদিন যেসব সমস্যার সম্মুখীন হন তন্মধ্যে যানজট সমস্যাই প্রধান। এই যানজটে আটকা পড়ে অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল-ক্লিনিক, ব্যবসা-বাণিজ্য, ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, ডাক্তার-রোগীর ঘন্টার পর ঘন্টা মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে, রোগীর জীবন হচ্ছে বিপন্ন।

এই শহরের যানজট নিরসনে প্রতিদিন লাল অথবা সবুজ রঙের অটোরিকশা চলাচলের নিয়ম করা হলোও তাতেও কমছে না যানজট। শহরের নানাবিধ সমস্যার সৃষ্টি করছে এই যানজট। এই যানজটের প্রথম এবং প্রধান কারণ হচ্ছে মূল শহরের উপর দিয়ে বাস-ট্রাকের গমনাগমন এবং প্রয়োজনের তুলনায় সরু রান্তা।

শহরের গেটপাড় থেকে দয়াময়ী মোড় হয়ে বকুলতলা পর্যন্ত বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে স্থানীয় ও আন্তঃজেলা ট্রাক শহরে প্রবেশ করে কথাকলি মার্কেট, মেডিকেল সড়কে ব্যবসার প্রাণকেন্দ্র ঢাকাই পট্টি পর্যন্ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। শহরের ভিতরের এই যানজট নিরসনের জন্য দয়াময়ী মোড় থেকে বকুলতলা হয়ে কম্পপুর মোড় হয়ে যে রাস্তা ইসলামপুর-দেওয়ানগঞ্জের দিকে চলে গেছে ওই রাস্তা সম্প্রসারণ করার পরিকল্পনা করেছে সড়ক বিভাগ। এসব নানাবিধ সমস্যার কথা বিবেচনা করে রাস্তা সম্প্রসারণ ও পরিকল্পিত মার্কেট নির্মাণ করে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ ঘটানো সম্ভব। বর্তমানে জামালপুর শহরের ব্যবসার মূল কেন্দ্রস্থল কথাকলি মার্কেট, তমালতলা, ঢাকাই পট্টি, সকাল বাজার হয়ে গমনাগমন করে জনসাধারণ।

শহরের নির্মাণাধীন গেটপাড় পয়েন্ট থেকে পূর্ব দিকে ফায়ার সার্ভিস পর্যন্ত রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণ কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ শহরের দয়াময়ী এলাকা থেকে কম্পপুর মোড় পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার চারলেনে উন্নীত করা হবে। এই সড়ক চারলেনে উন্নীত করার পাশাপাশি ড্রেন, ফুটপাত তৈরি করা হবে।

গেটপার থেকে কম্পপুর পর্যন্ত সড়ক উন্নীত করা হলে সড়কের যানজট নিরসন ছাড়াও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। অপরদিকে কম্পপুর-ইসলামপুর-দেওয়ানগঞ্জ পর্যন্ত ৩৯ কিলোমিটার ৩৪ ফুট প্রশস্ত সড়ক তৈরি করা হবে, ফলে দুর্ঘটনা কমে আসবে।