স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী হলেন মুরাদ হাসান, এলাকাবাসীর উচ্ছ্বাস

চিকিৎসক মুরাদ হাসান

মমিনুল ইসলাম কিসমত, সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠি ডটকম

জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসনে দুইবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য চিকিৎসক মুরাদ হাসান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী হলেন। ৬ জানুয়ারি এলাকায় এ সংবাদ পৌঁছুলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিনন্দনের ঝড় বইছে। পৌরসভাসহ আটটি ইউনিয়নের দোকানপাট, পাড়া-মহল্লা, মোড় ও হাট-বাজারে সংবাদটি দিনভর প্রধান আলোচনায় পরিণত হয়। দীর্ঘদিন পর মন্ত্রণালয় ফিরে পাওয়ায় উপজেলায় আনন্দের বন্যা বইছে।

৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চিকিৎসক মুরাদ হাসান উপজেলার ২ লাখ ৫২ হাজার ৭৪৫টি ভোটের মধ্যে ২ লাখ ১৭ হাজার ১৯৮টি ভোট পেয়ে দ্বিতীয় বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ইতোপূর্বে তিনি নবম জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। চিকিৎসক মুরাদ হাসান বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক। এ ছাড়া তিনি স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) ও একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটিরও কেন্দ্রীয় সদস্য। তাঁর বাবা বঙ্গবন্ধুর সহচর প্রয়াত আইনজীবী মতিয়র রহমান তালুকদার ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী বিচারপতি এবং জেলা আওয়ামী লীগ ও জেলা আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি।

জানা গেছে, জামালপুর জেলার গুরুত্বপূর্ণ আসন হিসেবে পরিচিত সরিষাবাড়ী। এ উপজেলায় যিনি সংসদ সদস্য হন তিনি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান এবং তাঁর দলই সরকার গঠন করে কথাটি এলাকায় প্রচলিত আছে। তবে জোটগত কারণে দশম জাতীয় সংসদে এ আসনে জাতীয় পার্টি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় এলাকা কাঙ্খিত উন্নয়ন বঞ্চিত হয়। সরিষাবাড়ীতে আওয়ামী লীগ থেকে দ্বিতীয় বারের মতো এবার প্রতিমন্ত্রী দেওয়া হলো। ইতোপূর্বে সপ্তম জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য প্রয়াত মাওলানা নুরুল ইসলাম ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ায় চিকিৎসক মুরাদ হাসান মুঠোফোনে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও উপজেলাবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।