বিএনপির প্রার্থী মামুনের নির্বাচনী কার্যালয় বন্ধ, পোস্টার পোড়ানোর অভিযোগ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠি ডটকম

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুনের নির্বাচনী কার্যালয়ে নৌকা প্রতীকের পোস্টার লাগানো, কার্যালয়টি বন্ধ করে দেওয়া এবং ধানের শীষ প্রতীকের পোস্টার ছিঁড়ে পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

১১ ডিসেম্বর গভীর রাতে জামালপুর সদর উপজেলার দিগপাইত ও কেন্দুয়া ইউনিয়নে এসব ঘটনা ঘটে। বিএনপি দলীয় প্রার্থী এসব ঘটনায় এ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. মোজাফফর হোসেনের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লংঘনের পৃথক দুটি অভিযোগ করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে।

বিএনপি দলীয় প্রার্থী শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন নির্বাচনী সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ১২ ডিসেম্বর বিকেলে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন। তিনি তার অভিযোগে বলেছেন, ১১ ডিসেম্বর রাতে সদর উপজেলার দিগপাইত ইউনিয়নের ছোনটিয়া বাজারে তার ধানের শীষ প্রতীকের নির্বাচনী কার্যালয় বন্ধ ছিল। এ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী মো. মোজাফফর হোসেনের সমর্থক দলীয় নেতাকর্মীরা ওই কার্যালয়ের বাইরে শাটারে নৌকা প্রতীকের পোস্টার সেঁটে দেয়। তারা ওই কার্যালয়টিতে আমাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। একই রাতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সমর্থক ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা দিগপাইত ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে রশিতে ঝুলানো ধানের শীষ প্রতীকের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে দেয়।

একই রাতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকরা সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের নারিকেলী, বিনন্দেরপাড়া, টিউবওয়েলপাড় ও রেলঘুন্টি এলাকায় মহড়া দিয়ে রাস্তায় রশিতে ঝুলানো ধানের শীষ প্রতীকের সমস্ত পোস্টার ছিঁড়ে পুড়িয়ে ফেলেছে।

এদিকে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী মো. মোজাফফর হোসেন এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে বাংলারচিঠি ডটকমকে বলেছেন, ‘আমি শুনেছি যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এগুলো মিথ্যা অপপ্রচার মাত্র। আমি বা আমার কোনো কর্মীসমর্থক কেউ এই ধরনের কাজ করেনি। বিএনপি প্রার্থীর অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে হয়তো এসব ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।’

জামালপুরের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর বিএনপি প্রার্থীর অভিযোগ প্রসঙ্গে বাংলারচিঠি ডটকমকে বলেন, ‘বিএনপি দলীয় প্রার্থীর অভিযোগ দুটি নির্বাচনী তদন্ত কমিটিকে দিয়ে তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিয়েছি।’