ঢাকা ০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
দেওয়ানগঞ্জকে পরাজিত করে ফাইনালে উঠেছে জামালপুর পৌরসভা, তারা ফাইনালে লড়বে সরিষাবাড়ীর সাথে খোকা মমতা ডেন্টাল সার্জারির উদ্যোগে ৩ দিনব্যাপী বিনামূল্যে মেডিকেল ক্যাম্প দেওয়ানগঞ্জে শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত জামালপুরে আওয়ামী লীগের দুই নেতা কারাগারে মাদারগঞ্জে সাপের দংশনে কৃষকের মৃত্যু আওয়ামী লীগের সাথে ছবি আছে এমন কেউ কমিটিতে আসতে পারবে না মেলান্দহকে পরাজিত করে ফাইনালে উঠেছে সরিষাবাড়ী উপজেলা দল সরিষাবাড়ীতে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু জামালপুরে নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত খালেদা জিয়ার কারামুক্তি দিবস : জামালপুরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
জমি নিয়ে বিরোধের জের

দেওয়ানগঞ্জে বাগানের আমগাছ কাটার অভিযোগ

দেওয়ানগঞ্জ : তারা মিয়ার বাগানের আমগাছ কেটেছে প্রতিপক্ষরা। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার হাতীভাঙ্গা ইউনিয়নের সরকার পাড়া গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আম বাগানের আম গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাগান মালিক খাজা মিয়া বাদী হয়ে ১০ জনের বিরুদ্ধে দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন। ২৫ এপ্রিল শুক্রবার সকালে আমগাছ কাটার ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী খাজা মিয়া বলেন, হাতীভাঙ্গা মৌজার বিআরএস ১৩৭৭ নম্বর খতিয়ানের বিআরএস ২৩৭৫ নম্বর দাগে ১৮ শতাংশ জমিতে আমবাগান করা হয়েছে। আমার বাব তারা মিয়া ওই দাগের ৩০ শতাংশ জমির প্রকৃত মালিক। ভোগদখলদার থাকাবস্থায় আমার বাবার নামে চূড়ান্তভাবে বিআরএস রেকর্ড রয়েছে। আমার বাবা মারা যাওয়ার পর আমি ও আমার ভাই-বোন এবং মা পরবর্তী ওয়ারিশ মালিক হয়ে নিজ নিজ নামে ৫৭৬২ নম্বর খারিজ খতিয়ান খুলে নিয়মিত খাজনা দিয়ে আসছি।

তিনি আরও বলেন, পতিপক্ষ রফিজল হক দীর্ঘদিন ধরে ওই জমি ভোগদখলে বাধা দিয়ে আসছেন। এরপর এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের শরনাপন্ন হই। এরপর কয়েক দফায় সালিশ বৈঠকে গণ্যমান্য ব্যক্তিরা আমাদেরকে ১৮ জমি শতাংশ জমি বুঝিলে দিলে উক্ত জমিতে উন্নতজাতের আমগাছের চারা লাগিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পরিচর্যা করে আসছি। বর্তমান মৌসুমে ওই আমবাগানের প্রত্যেকটি গাছে আম ধরেছিল। কিন্তু ২৫ এপ্রিল ভোরে আমখাওয়া গ্রামের রফিজল হক তার লোকজন নিয়ে আমাদের আমবাগানে প্রবেশ করে দা, কুড়াল দিয়া ১৮ শতাংশ জমির আমবাগানের ৬৭টি আমগাছ গোড়ালিসহ কেটে ফেলে। বিষয়টি জানতে পেরে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রতিবাদ করলে তারা দা, কুড়াল ইত্যাদি উচিয়ে আমাদেরকে হত্যার হুমকি দেয়। একই সাথে ওই জমি ভোগদখল করা থেকে বিরত রাখার জন্য ভয়ভীতি দেখায়। এতে আমরা আমাদের জমিতে যেতে ও চলাফেরা করতে জানমালের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ ঘটনায় আমি বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামি করে দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানায় অভিযোগ করেছি।

এ ব্যাপারে রফিজল হক বিরোধপূর্ণ ওই জমি ক্রয়সূত্রে মালিক দাবি করে এ প্রতিবেদককে বলেন, আমি ১৯৯৯ সালে আওআর রেকর্ড মূলে ৪৫৫ খতিয়ানে ৩৭৬ দাগে আমজাদ হোসেন, মুন্তাজ মিয়া, ইমান আলী ও চন্দ্র ভান এই চারজনের কাছ থেকে ২৮ শতাংশ জমি ক্রয় করি। যার দলিল নাম্বার ২৩৯৮। এ জমি বিআরএস রেকর্ডে তারা মিয়ার নামে হওয়ায় আমি রেকর্ড সংশোধনের জন্য ২০১৯ সালে আদালতে মামলা করি। মামলা নম্বর ১৬৮। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। আমার বিরুদ্ধে আমগাছ কাটার যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হাসান এ প্রতিবেদককে বলেন, খাজা মিয়ার আমবাগানের আমগাছ কাটার অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

দেওয়ানগঞ্জকে পরাজিত করে ফাইনালে উঠেছে জামালপুর পৌরসভা, তারা ফাইনালে লড়বে সরিষাবাড়ীর সাথে

জমি নিয়ে বিরোধের জের

দেওয়ানগঞ্জে বাগানের আমগাছ কাটার অভিযোগ

আপডেট সময় ০১:৩৫:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার হাতীভাঙ্গা ইউনিয়নের সরকার পাড়া গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আম বাগানের আম গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাগান মালিক খাজা মিয়া বাদী হয়ে ১০ জনের বিরুদ্ধে দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন। ২৫ এপ্রিল শুক্রবার সকালে আমগাছ কাটার ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী খাজা মিয়া বলেন, হাতীভাঙ্গা মৌজার বিআরএস ১৩৭৭ নম্বর খতিয়ানের বিআরএস ২৩৭৫ নম্বর দাগে ১৮ শতাংশ জমিতে আমবাগান করা হয়েছে। আমার বাব তারা মিয়া ওই দাগের ৩০ শতাংশ জমির প্রকৃত মালিক। ভোগদখলদার থাকাবস্থায় আমার বাবার নামে চূড়ান্তভাবে বিআরএস রেকর্ড রয়েছে। আমার বাবা মারা যাওয়ার পর আমি ও আমার ভাই-বোন এবং মা পরবর্তী ওয়ারিশ মালিক হয়ে নিজ নিজ নামে ৫৭৬২ নম্বর খারিজ খতিয়ান খুলে নিয়মিত খাজনা দিয়ে আসছি।

তিনি আরও বলেন, পতিপক্ষ রফিজল হক দীর্ঘদিন ধরে ওই জমি ভোগদখলে বাধা দিয়ে আসছেন। এরপর এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের শরনাপন্ন হই। এরপর কয়েক দফায় সালিশ বৈঠকে গণ্যমান্য ব্যক্তিরা আমাদেরকে ১৮ জমি শতাংশ জমি বুঝিলে দিলে উক্ত জমিতে উন্নতজাতের আমগাছের চারা লাগিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পরিচর্যা করে আসছি। বর্তমান মৌসুমে ওই আমবাগানের প্রত্যেকটি গাছে আম ধরেছিল। কিন্তু ২৫ এপ্রিল ভোরে আমখাওয়া গ্রামের রফিজল হক তার লোকজন নিয়ে আমাদের আমবাগানে প্রবেশ করে দা, কুড়াল দিয়া ১৮ শতাংশ জমির আমবাগানের ৬৭টি আমগাছ গোড়ালিসহ কেটে ফেলে। বিষয়টি জানতে পেরে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রতিবাদ করলে তারা দা, কুড়াল ইত্যাদি উচিয়ে আমাদেরকে হত্যার হুমকি দেয়। একই সাথে ওই জমি ভোগদখল করা থেকে বিরত রাখার জন্য ভয়ভীতি দেখায়। এতে আমরা আমাদের জমিতে যেতে ও চলাফেরা করতে জানমালের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ ঘটনায় আমি বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামি করে দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানায় অভিযোগ করেছি।

এ ব্যাপারে রফিজল হক বিরোধপূর্ণ ওই জমি ক্রয়সূত্রে মালিক দাবি করে এ প্রতিবেদককে বলেন, আমি ১৯৯৯ সালে আওআর রেকর্ড মূলে ৪৫৫ খতিয়ানে ৩৭৬ দাগে আমজাদ হোসেন, মুন্তাজ মিয়া, ইমান আলী ও চন্দ্র ভান এই চারজনের কাছ থেকে ২৮ শতাংশ জমি ক্রয় করি। যার দলিল নাম্বার ২৩৯৮। এ জমি বিআরএস রেকর্ডে তারা মিয়ার নামে হওয়ায় আমি রেকর্ড সংশোধনের জন্য ২০১৯ সালে আদালতে মামলা করি। মামলা নম্বর ১৬৮। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। আমার বিরুদ্ধে আমগাছ কাটার যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হাসান এ প্রতিবেদককে বলেন, খাজা মিয়ার আমবাগানের আমগাছ কাটার অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।