বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিরাজুল হকের বিরুদ্ধে বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিসে অভিযোগ করায় এবং তাকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তিনি। ৭ এপ্রিল সোমবার দুপুরে জামালপুর শহরের একটি হোটেলে এই সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আমজাদ হোসেন ভোলা মল্লিক, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমেদ, বিএনপিনেতা খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান আরমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে দলীয় কার্যালয়ে অস্ত্র প্রদর্শনের কথা স্বীকার করে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী মো. সিরাজুল হক বলেন, আমার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় কমিটিতে অভিযোগ করা হয়েছে। সরকার তামাশা দেখার জন্য আমাকে অস্ত্র দেয়নি। মুছে ঘরে রেখে দেওয়ার জন্যও দেয়নি। নিরাপত্তার জন্য দিয়েছে। দলীয় কার্যালয়ে ছেলেকে মারধরের খবর পেয়ে আমি আমার লাইসেন্সকৃত পিস্তল নিয়ে সেখানে যাই। তারা আমাকেও মারধর করতে পারে এই আশঙ্কায় আমি পিস্তল প্রদর্শন করি।
তিনি আরও জানান, শহরের স্টেশন বাজার মোড়ে তার বড় ছেলে বাবুর নামে থাকা একটি ঘর গত ২৮ বছর ধরে জামালপুর জেলা বিএনপির কার্যালয় হিসেবে ব্যবহারের জন্য তিনি বিনা ভাড়ায় দিয়েছেন। এ নিয়ে ১ এপ্রিল রাতে তার ছেলে ঘর মালিক ওই অফিসে কথা বলতে গেলে উপস্থিত নেতাকর্মীরা সবাই মারমুখী হয়ে উঠেন। ছেলের জীবন বাঁচাতে ও নিরাপত্তার স্বার্থে লাইসেন্সকৃত পিস্তল উঁচিয়ে তিনি ছেলেকে উদ্ধার করেন।
এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী শাহ্ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন সাবেক স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিরাজুল হক।