নকলায় উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন মাহবুবুল আলম সোহাগ

শফিউল আলম লাভলু
নিজস্ব প্রতিবেদক, নকলা (শেরপুর), বাংলারচিঠিডটকম

শেরপুরর নকলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে এ কে এম মাহবুবুল আলম সোহাগ বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে আবু হামযা কনক ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লাকী আক্তার নির্বাচিত হয়েছেন। ২১ মে এ উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাচবন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, এবারের নির্বাচনে উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম মাহবুবুল আলম সোহাগ দোয়াত—কলম প্রতীকে ২০ হাজার ৬৫৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা মো. মোকশেদুল হক শিবলু কাপ—পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ১৯ হাজার ২১৩ ভোট।

চেয়ারম্যান পদে অন্যান্যদের মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ আনারস প্রতীকে ১৬ হাজার ১০৭ ভোট, উপজেলা পরিষদের দু’বারের ভাইস চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সারোয়ার আলম তালুকদার ঘোড়া প্রতীকে ১৩ হাজার ১৬ ভোট ও উপজেলা পরিষদের দু’বারের চেয়ারম্যান শাহ্ মো. বোরহান উদ্দিন মোটর সাইকেল প্রতীকে ১১ হাজার ৬৯৫ ভোট পেয়েছেন।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক আবু হামযা কনক চশমা প্রতীকে ৩১ হাজার ১৯৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন সরকার বাবু পেয়েছেন ২৭ হাজার ১৪২ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে অন্যান্যদের মধ্যে উপজেলা যুবদলের যুগ্মআহবায়ক মো. মামুন হোসেন উড়োজাহাজ প্রতীকে ১১ হাজার ২৫৭ ভোট, ৭ নম্বর টালকী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন আকন্দ তালা প্রতীকে পাঁচ হাজার ৪৫১ ভোট, উপজেলা যুবদলের যুগ্মআহবায়ক মো. রেজাউল করিম টিউবওয়েল প্রতীকে চার হাজার ৫৬১ ভোট পেয়েছেন।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লাকী আক্তার প্রজাপতি প্রতীকে ৬১ হাজার ২৬৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা পরিষদের বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছা. ফরিদা ইয়াসমিন হাঁস প্রতীকে আট হাজার ১৩৪ ভোট পেয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে অন্যান্যদের মধ্যে সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছা. কহিনুর বেগম কলস প্রতীকে পেয়েছেন ৬ হাজার ৬৯৩ ও আলেয়া পারভিন ফুটবল প্রতীকে পেয়েছেন তিন হাজার ৫৪৪ ভোট।

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া উম্মুল বানিন এ প্রতিবেদককে জানান, উপজেলার কোথাও গোলযোগের তথ্য পাওয়া যায়নি। প্রতিটি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটারগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৭৯টি ভোট কেন্দ্রের ৪৬৪টি ভোটকক্ষে (বুথে) গোপন ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হয়।

তিনি আরও জানান, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৭৯ হাজার ৬০৬ জন। এতে পুরুষ ভোটার ৮৮ হাজার ৩৭৬ জন এবং নারী ভোটার ৯১ হাজার ২৩০ জন। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৭৯ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৪৬৪ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও ৯২৮ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করেন। তাছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশ ও আনসার সদস্যগন নিজ নিজ দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করেছেন।