জামালপুরে তিনটি ভোট কেন্দ্রে সংঘর্ষ, স্বতন্ত্রসহ ৩ প্রার্থীর ভোট প্রত্যাখ্যান

৭ জানুয়ারি বেলা ১১টায় জামালাপুর সদর আসনের নারিকেলী উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র। ছবি : বাংলরচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম : জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে দুটি কেন্দ্রে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, পুলিশের ফাঁকাগুলি বর্ষণ ও জামালপুর সদর আসনের একটি ভোট কেন্দ্রে সংঘর্ষের জের ধরে কেন্দ্র স্থগিত হয়েছে। এ সব ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া ৭ জানুয়ারি জেলার পাঁচটি আসনে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এই নির্বাচনে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে স্বতন্ত্র ও লাঙল প্রতীকের দু’জন প্রার্থী সংবাদ সম্মেলনে করে এই নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ৭ জানুয়ারি ভোট গ্রহণ চলাকালে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জামালপুর-৪ সরিষাবাড়ী আসনের চর আদ্রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকা ও ট্রাক প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। বেলা ১১টার দিকে সরিষাবাড়ী আসনের বলারদিয়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকার প্রার্থী মো. মাহবুবুর রহমান ও ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক অধ্যক্ষ মো. আব্দুর রশীদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নৌকার এজেন্ট মুমিনুল ইসলাম ও রমজান আলী আহত। মুমিনুলকে গুরুতর অবস্থায় সরিষাবাড়ী উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এছাড়া জামালপুর সদর আসনের ইটাইল ইউনিয়নের জাগির মির্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. আবুল কালাম আজাদ ও ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. রেজাউল করিমের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন। এর জের ধরে জাগির মির্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রটির ভোট গ্রহণ স্থগিত করেছেন সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং অফিসার।

এদিকে জামালপুর-৫ (সদর) আসনে পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে পুনর্নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছেন জামালপুর-(৫) সদর আসনের ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগনেতা মো. রেজাউল করিম। এছাড়া ভোটে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে জামালপুর-২ (ইসলামপুর) আসনের জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মোস্তফা আল মাহমুদ ও জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) আসনে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মীর শামসুল আলম নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছেন।

এদিকে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো. শফিউর রহমান বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, ৭ জানুয়ারি বিকেল ৩টা পর্যন্ত জামালপুরের পাঁচটি আসনে শতকরা ২৯ ভাগ ভোট পড়েছে বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য পেয়েছি। বিকেল ৪টা পর্যন্ত কতভাগ ভোট পড়েছে তা জানা যাবে ভোট গণনার পর। এখনো ভোট গণনা শেষ হয়নি। সারা জেলায় দুয়েকটি কেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ব্যতীত শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান তিনি।