১৮ জুন জামালপুরে ৩৩৪৪০৪ শিশু খাবে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল

কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. প্রণয় কান্তি দাস।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম : আগামী ১৮ জুন জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন চলাকালে জামালপুর জেলায় ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৪০৪ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ১৩ জুন বিকেলে জামালপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ে জেলা সাংবাদিকদের অবহিতকরণ কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়।

বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. নজরুল ইসলাম সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. প্রণয় কান্তি দাস। কর্মশালার শুরুতেই মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপনায় শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ও শিশুমৃত্যু রোধে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর প্রয়োজনীয়তা ও ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল ক্যাম্পেইন সম্পর্কে ধারণা দেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা খন্দকার বদরুল আলম।

পরে প্রশ্নোত্তর পর্ব ও আলোচনায় অংশ নেন জেলা তথ্য অফিসার মো. জালাল উদ্দিন, জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদা, দৈনিক আলোচিত জামালপুরের নির্বাহী সম্পাদক সাযযাদ আনসারী, বাংলারচিঠিডটকমের সম্পাদক জাহাঙ্গীর সেলিম, কালের কণ্ঠের সাংবাদিক মোস্তফা মনজু, বাংলাদেশ বেতারের সাংবাদিক ফজলে এলাহী মাকাম, বাংলাদেশ টুডের সাংবাদিক এম সুলতান আলম, একুশে টিভির সাংবাদিক মুক্তা আহাম্মেদ প্রমুখ।

এ সময় সিভিল সার্জন ডা. প্রণয় কান্তি দাস জানান, শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি কমানোর লক্ষ্য নিয়ে এ বছর জেলার সাতটি উপজেলায় মোট ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৪০৪ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এদের মধ্যে ৬ মাস থেকে ১১ মাস ২৯ দিন বয়সী ৩৭ হাজার ৩৩২ জন শিশুকে নীল রঙের এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস ২৯ বয়সী ২ লাখ ৯৭ হাজার ৭২ জন শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

তিনি জানান, আগামী ১৮ জুন ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন চলাকালে পর্যায়ক্রমে জেলার সাতটি উপজেলায় এক হাজার ৬৯২টি কেন্দ্রে শিশুদের এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অভিভাবকদের তাদের শিশুদের নির্ধারিত কেন্দ্রে গিয়ে এই টিকা খাওয়াতে হবে। অসুস্থ শিশুদের এই ক্যাপসুল খাওয়ানো থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ে জেলা সাংবাদিকদের অবহিতকরণ কর্মশালা। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

এছাড়াও কিছু সতর্কতার বিষয় তুলে ধরে তিনি বলেন, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল অবশ্যই মাঠকর্মী/স্বাস্থ্যসেবক খাওয়াবে। কোনো অবস্থাতেই অভিভাবক বা শিশুর হাতে দেওয়া যাবে না। কান্নারত অবস্থায় কিংবা জোর করে কোনো শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। সবগুলো ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এক সাথে কেটে রাখা যাবে না। কোনো অবস্থাতেই একজন শিশুকে পূর্ণ বা গোটা ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। ক্যাপসুল খাওয়ানোর সময় যেন শিশুর মুখ গহ্বরে হাতের স্পর্শ না লাগে। ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলের মুখ কাঁচি দিয়ে কেটে ভেতরের সম্পূর্ণ তরল অংশটুকু শিশুকে খাওয়াতে হবে।

সিভিল সার্জন আরও বলেন, ভিটামিন ‘এ’ অন্ধত্ব প্রতিরোধ করে। শিশুর দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করে। সকল ধরনের মৃত্যুর হার শতকরা ২৪ ভাগ হ্রাস করে। হাম জনিত মৃত্যুর হার শতকরা ৫০ ভাগ হ্রাস করে এবং ডায়রিয়া জনিত মৃত্যুর হার শতকরা ৩৩ ভাগ হ্রাস করে।

জামালপুরে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত ৩০ জন গণমাধ্যমকর্মী কর্মশালায় অংশ নেন।