জামালপুরে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে এপির সভায় ধর্মীয় নেতাদের অঙ্গীকার

সভায় বক্তব্য রাখেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন জামালপুর জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আবদুর রাজ্জাক।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম: ইসলাম, হিন্দু ও খ্রিস্টান ধর্মের ধর্মীয় নেতাদের নিয়ে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে করণীয় ও ভূমিকা বিষয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। জামালপুর এরিয়া প্রোগ্রাম (এপি) আয়োজিত সভা উদ্বোধন করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন জামালপুর জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আবদুর রাজ্জাক। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শাহাদৎ হোসেন।

২৩ মার্চ জামালপুর সুইড ভবনে অনুষ্ঠিত শিখন ও মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জামালপুর ওয়ার্ল্ড ভিশনের এরিয়া প্রোগ্রামের কোঅর্ডিনেশন অফিসের সিনিয়র ম্যানেজার সেবাস্টিয়ান পিউরিফিকেশন।

সভায় উপস্থিত অতিথিবৃন্দ।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম
সভায় উপস্থিত ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

এতে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম, জামালপুর এপি ম্যানেজার সাগর ডি কস্তা, উন্নয়ন সংঘের জামালপুর এপি ম্যানেজার মিনারা পারভীন, জামালপুর দয়াময়ী মন্দিরের সহ-সভাপতি অজয় কুমার পাল, ইমাম এহসানুল কবীর খান, নজরুল ইসলাম, হিন্দু ধর্মের পুরোহিত সজল চক্রবর্ত্তী, খ্রিস্টান ধর্মের নেতা পাস্টর স্যামুয়েল বিশ্বাস, হিন্দু কমিউনিটির নেতা রাজিব চক্রবর্ত্তী প্রমুখ। প্রশিক্ষণে অতিথিবৃন্দসহ ৮০ জন প্রতিনিধি অংশ নেন।

বাল্যবিয়ে প্রতিরোধের অঙ্গীকারে গণসাক্ষর।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

বক্তারা বলেন, বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে হলে অভিভাবক পর্যায়ে এবং বিদ্যায়লভিত্তিক কাজ করতে হবে। আপাতত দৃষ্টিতে ইমাম বা ধর্মীয় নেতারা মানুষের সম্মানের পাত্র হলেও ধর্মীয় বাণী তারা চেতনায় ধারণ করে কম। তবুও ধর্মীয় দৃষ্টিতে বাল্যবিয়ের কূফল প্রচারে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে তারা ভূমিকা পালনের অঙ্গীকার করেন। পাশাপাশি সবাই রাজনৈতিক নেতা, জনপ্রতিনিধি, কাজী এবং পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।

মতবিনিময় সভায় সকলের মতামত ও সুপারিশে উল্লেখ করা হয়, তথ্য প্রযুক্তি অপব্যবহার বন্ধ করা, ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা, পারিবারিক বন্ধন অটুট করা, প্রচলিত শিক্ষার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রম জোরদার করা, সৃজনশীল কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করা, ক্রীড়া ও সুস্থধারার বিনোদনসহ সংস্কৃতি চর্চা করা, ১৮ বছরের আগে কোন ছেলে, মেয়ের হাতে স্মার্ট ফোন তুলে না দেওয়া ইত্যাদি।