লক্ষ্মীরচরে হামলায় আ.লীগ নেতাসহ আহত ৭, প্রাণনাশের হুমকি

প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত আওয়ামী লীগনেতা বকুল হোসেন। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম: জামালপুর সদরের পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর নির্মিত নান্দিনা-লক্ষ্মীরচর সেতুর পাশে জমি নিয়ে বিরোধে আওয়ামী লীগ নেতাসহ সাতজন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। হামলার সময় ১০ লাখ টাকা লুটতরাজের অভিযোগ ওঠেছে। জামিনে থাকা আসামিরা মামলার বাদীসহ পরিবারের লোকজনকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, জামালপুর সদরের পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের নান্দিনা-লক্ষ্মীরচর নির্মাণাধীন সেতুর পাশের জমি নিয়ে লক্ষ্মীরচরের মোহাম্মদ আলীর ছেলে লক্ষ্মীরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বকুল হোসেনের সাথে একই এলাকার মৃত ছবর উদ্দিনের ছেলে কবিরের বিরোধ রয়েছে। সেই বিরোধের জেরে গত ১০ মার্চ রাতে বকুল হোসেনের নান্দিনা বাজারস্থ বন্ধু সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতির কার্যালয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালায় প্রতিপক্ষ কবির ও তার লোকজন। হামলাকারীরা নগদ ১০ লাখ টাকা লুট ও সমিতির অফিস ঘরের ব্যাপক ভাংচুর করেছে। অতর্কিত হামলায় বকুল হোসেন (৪২), আকবর হোসেন (৪৬), শফিকুল ইসলাম (৪২), সোহাগ (৪২) ও মিজান (৩৩) গুরুতর আহত হন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত বকুল হোসেন ও আকবর হোসেনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন তাদের স্বজনরা।

এ ঘটনায় গত ১১ মার্চ লক্ষ্মীরচরের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে মো. আছান আলী বাদী হয়ে জামালপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় লক্ষ্মীরচরের মৃত ছবির উদ্দিনের ছেলে মো. কবির, মোস্তফার ছেলে লাইজু মিয়া ও হারুনুর রশিদের ছেলে সম্রাট আলীসহ ২১ জনের নামে এবং অজ্ঞাত পরিচয়ের আরো ১০/১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

এদিকে মামলা দায়েরের পর থেকে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন মামলার বাদী মো. আছানসহ পরিবারের লোকজন। আসামিদের মধ্যে কয়েকজন আদালত থেকে জামিন নেয়ার পর মামলার বাদী ও তার পরিবারের লোকজনকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মামলার বাদী মো. আছান আলী।

জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ বাংলারচিঠিডটকমকে জানান, এ ঘটনার পর পুলিশ শেখ ফরিদ নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। নয়জন আসামি আদালত থেকে জমিন নিয়েছে এবং বাকিরা পলাতক রয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।