এই দেশ টিকিয়ে রাখতে ২০২৪ সালেও ঐক্যবদ্ধভাবে নৌকায় ভোট দিতে হবে : ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী

তিতপল্লায় শীর্তাতদের মাঝে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম : জামালপুর সদর উপজেলার তিতপল্লা ইউনিয়নে নিজস্ব অর্থায়নের কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী বলেছেন, এই দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৪ বছর ধরে কাজ করছেন। এখনো করছেন। এই দেশকে টিকিয়ে রাখতে হলে ২০২৪ সালের নির্বাচনে আবারো ঐক্যবদ্ধভাবে নৌকায় ভোট দিতে হবে।

২০ জানুয়ারি বিকেলে জামালপুর সদর উপজেলার তিতপল্লা ইউনিয়নে নিজস্ব অর্থায়নে স্থানীয় শীতার্ত ৪০০ জন দরিদ্র নারী-পুরুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী। কম্বল বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিতপল্লায় শীর্তাতদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

তিনি আরো বলেন, আর যদি কোন কারণে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে না পারে। এই দেশে ১৪ বছর আগে যেমন হাহাকার ছিল। আবারো হাহাকারে পরিণত হবে। আপনারা জানেন বিএনপির চরিত্র কি। বিএনপি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় গেলে হত্যা, গুম, ধর্ষণ, লুটপাট এছাড়া এই দেশে আর কিছুই থাকবে না। এই তিতপল্লার মাটি আওয়ামী লীগের ঘাটিতে পরিণত হয়েছে। তাই আপনাদের কাছে আবেদন করে বলতে চাই- আমরা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিজয় ছিনিয়ে এনে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে চাই। শেখ হাসিনাকে আবারো দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই।

তিনি বলেন, আগামী ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর সদর আসনের একজন প্রার্থী হিসেবে আপনাদের সাথে আজকে কথা বলতে এসেছি। জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি নির্বাচনে আমাকে মনোনয়ন দেন। আপনারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য অতীতে যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছেন। আগামী নির্বাচনেও ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকায় ভোট দিবেন, এই কথাটিই আপনাদের কাছে বলতে এসেছি। আমার সামর্থ অনুযায়ী আপনাদের জন্য কিছু শীতবস্ত্র নিয়ে এসেছি। শীতবস্ত্র বিতরণের মধ্য দিয়ে আপনাদের সাথে মতবিনিময়ও করতে এসেছি।

ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী আরো বলেন, আগামী নির্বাচনে এই সদর আসনে জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোয়ন না দিয়ে যাকেই মনোনয়ন দিবেন। নৌকা প্রতীক যে পাবেন তার পক্ষেই আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনা যাকে পছন্দ করবেন তাকেই মনোনয়ন দিবেন। আমাদের সদর থেকে আপনারা অতীতে নৌকার বিজয় নিয়ে এসেছেন। আগামী দিনগুলোতেও নৌকার বিজয় যাতে অব্যাহত থাকে সেই চেষ্টা ও সেই কথাটুক বলার জন্য আজকে আপনাদের কাছে এসেছি। কোন কারণে একটি আসন যদি হারিয়ে ফেলি। আর একটি আসনের জন্য আমরা যদি সরকার গঠন করতে না পারি। তাহলে দেশের সর্বনাশ হবে।

তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা এই দেশটি একটানা ১৪ বছর ধরে শাসন করছেন। ১৪ বছরের আগের কথা চিন্তা করেন। ১৪ বছর আগে এই এলাকার হতদরিদ্র মানুষ একবেলা খেতে পারতেন না। কোন কোন হতদরিদ্র মানুষ সারাদিন উপোস থাকতো। পরনের ভালো কাপড় ছিল না। পোলাপানকে পড়াশোনা করাতে পারতো না।

তিতপল্লা ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে কম্বল নিতে আসা শীর্তাত মানুষের ভিড়। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

তিনি আরো বলেন, বিগত ১৪ বছরে জননেত্রী শেখ হাসিনা হতদরিদ্র মানুষের জন্য কাজ করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনাদের জন্য কাজ করছেন বিধায় আজকে একটি মানুষও না খেয়ে থাকে না। গরিব মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করার জন্য শেখ হাসিনা অনেক ভাতা চালু করেছেন। বিধবা, বয়স্ক, পঙ্গু ও মাতৃকালীন ভাতা, ভিজিডি, ভিজিএফ, পুষ্টি ভাতাসহ এরকম বহুভাতা আপনাদের জন্য চালু করেছেন। আপনার আয়ের পাশাপাশি সরকারের এই সামান্য অনুদান যদি আপনাদের সংসারে যোগ হয় তাহলে আপনার পরিবার অতিদ্রুত সাবলম্বী হবে। দেশে দরিদ্র মানুষ কমে যাবে। এই উদ্দেশ্যেই শেখ হাসিনা সব সময় গরিব মানুষের কথা চিন্তা করে এই ভাতাগুলো চালু করেছেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জামালপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. এম এ মান্নান, সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান মুক্তা, তিতপল্লা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান মো. আজিজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মো. দৌলতুজ্জামান প্রমুখ। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য সাংবাদিক আজিজুর রহমান ডল, জামালপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফি উদ দৌলা চিশতী, দপ্তর সম্পাদক হুমায়ুন রশিদ দিপু, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ফজলুল হক নূরল প্রমুখসহ জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।