কাছারীপাড়ায় জমি দখলের অভিযোগ সোমার বিরুদ্ধে, সোমা বললেন সব বানোয়াট

ফারহানা সোমার বিরুদ্ধে জমি জবর দখলের অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শারমিন সুলতানা ছন্দা। পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করেন যুবলীগনেত্রী ফারহানা সোমা। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম: জামালপুর জেলা যুবমহিলা লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য ফারহানা সোমার নেতৃত্বে জামালপুর শহরের কাছারীপাড়ায় আবু সাঈদের জমিসহ বাড়িঘর জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী আবু সাঈদের মেয়ে শারমিন সুলতানা ছন্দা ১৪ জানুয়ারি বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন। পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে তাদের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বলে দাবি করেছেন যুবলীগনেত্রী ফারহানা সোমা।

১৪ জানুয়ারি বিকেল ৩টায় জামালপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে জমি জবর দখলের অভিযোগ করে শারমিন সুলতানা ছন্দা বলেন, তার বাবা ঠিকাদার আবু সাঈদ ১৯৭৩ সালে জামালপুর শহরের কাছারীপাড়ায় ১৪ শতাংশ জমি কিনে বসতবাড়ি করেন। এই জমির কিছু অংশ নিয়ে প্রতিবেশী নেওয়াজ আলমের সাথে আদালতে মামলা রয়েছে। তার বাবা আবু সাঈদ টঙ্গীতে বিশ্ব ইস্তেমায় গেছেন এবং দুই ভাই চাকরিসূত্রে ঢাকায় অবস্থান করছেন। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে গতকাল শনিবার ভোররাতে প্রতিপক্ষ নেওয়াজ আলম ও তার শ্যালিকা জেলা যুবমহিলা লীগের সভাপতি ফারহানা সোমার নেতৃত্বে শতাধিক লোকজন নিয়ে বিরোধপূর্ণ ওই জমির সাড়ে ৩ শতাংশ জমিসহ বাড়িটি জবরখল করে নেয়। তারা বাড়ির সীমানা দেয়াল ভেঙে ভেতরে ঢুকে আসবাবপত্রসহ সেখানে অবস্থান করছে। তারা তার মাকেও মারধর করেছে। এ ঘটনা সম্পর্কে ৯৯৯-এ ফোন করে আইনি সহায়তা চাওয়া হলে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। কিন্তু জবর দখলকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এ ঘটনায় তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবি করেন শারমিন।

এদিকে শারমিনের সংবাদ সম্মেলনের ঘণ্টা খানেক পর জেলা যুবমহিলা লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য ফারহানা সোমা জামালপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি বলেন, ১৬ শতাংশ জমি নিয়ে আমার দুলাভাই নেওয়াজ আলম ও প্রতিবেশী আবু সাঈদের মধ্যে মামলা রয়েছে। সম্প্রতি আমার দুলাভাই নেওয়াজ আলম ওই জমির মধ্যে সাড়ে ৩ শতাংশ জমির মালিকানার ডিগ্রি পেয়েছেন আদালত থেকে। ১৪ জানুয়ারি ভোরে নেওয়াজ আলম সেই জমিতে অবস্থান নিলে প্রতিপক্ষ শারমিন সুলতানা ছন্দার স্বামী জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক একরাম হোসেন মানিক বিএনপিকর্মীদের নিয়ে নেওয়াজ আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের উচ্ছেদের উদ্দেশ্যে হামলা চালায়।

ফারহানা সোমা বলেন, খবর পেয়ে আমি সেখানে যাই এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে দু’পক্ষকে শান্ত হতে বলি। আমি বা যুবমহিলা লীগের কেউ সেখানে হামলা করতে যায়নি। প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে শারমিন আমার এবং যুবমহিলা লীগের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। আমার এবং আমার দল যুবমহিলা লীগের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো হয়েছে। তার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট।