বাহাদুরাবাদ-বালাসী ঘাটে অনিয়ম, শর্ত মানছে না ইজারাদার

লঞ্চ থাকার পরেরও বাহাদুরাবাদ-বালাসী নৌ রুটে নৌকায় যাত্রী পারাপার করা হয়।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম: জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরাবাদ-গাইবান্ধার ফুলছুড়ি বালাসী ঘাটে বাংলাদেশ অভ্যান্তরীন নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত লঞ্চ মালিকের সাথে ঘাট ইজারা মালিকদের বৈরীভাবসহ ঘাট ইজারা ব্যবস্থাপনায় নানান অনিয়মে এই নৌ রুটে লঞ্চ মালিকসহ যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছে।

জানা গেছে, সরকার কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে বাহাদুরাবাদ ও বালাসী ঘাটে লঞ্চ টার্মিনাল নির্মাণ করলেও ঘাট ইজারা মালিকদের সিন্ডিকেটের কারণে কোন কাজে আসছে না সরকারের এই জনস্বার্থে নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন। বাহাদুরাবাদ টু বালাসী ফেরিঘাটে বাংলাদেশ অভ্যান্তরীন নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের কোন তোয়াক্কা না করে ঘাট ইজারা মালিকরা নিজের মনগড়াভাবে নৌ ঘাট পরিচালনা করছে। বালাসী ঘাট কালেকশন ঘাট বিআইডবিউটিএ চলাতে না পরে বিআইডবিউটিএ চেয়ারম্যান আত্মীয়করণ করে স্পষ্ট কোটেশন দিয়েছে। এই সুযোগে বালাসী ফেরিঘাটের স্পট কোটেশন ইজারা মালিক সোহানুর রহমান সোহান ও তার লোকজনরা বেশি লাভের আশায় লঞ্চের পরিবর্তে ইঞ্জিন চালিত নৌকা দিয়ে যাত্রী পারাপার করছে। একই অবস্থা বাহাদুরাবাদ ঘাটেও। ফলে নৌ রুটে চলাচলকারী যাত্রী সাধারণ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। দুই পারের ঘাট ইজারা মালিকদের সিন্ডিকেটের কারণে লঞ্চের টিকিট কেটে তারা লঞ্চে উঠতে না পেয়ে নৌকায় উঠতে হয়।

ঘাট ইজারা নিয়মানুযায়ী যাত্রী প্রতি ৬ টাকা ও লঞ্চ ঘাটের প্রতি লঞ্চটিপের জন্য ৬০০ টাকা নেওয়ার কথা থাকলেও এসব নিয়মের কোন তোয়াক্কা করছেনা বাহাদুরাবাদ-বালাসী ফেরিঘাটের ইজারাদার। ঘাট ইজারাদারের লোকজন সব টিকিটের টাকাই রেখে দিচ্ছে।

লঞ্চ পরিচালক মিজানুর রহমান মিজান জানান, প্রতি টিকিটের ২৫০ টাকার মধ্যে ৫০ টাকা দিলেও ইজারাদার ১৫০ টাকা করে দাবি করছে। ঘাট ইজারা মালিকের অনৈতিক দাবি টাকা না দিলে টিকেটর সব টাকাই রেখে দেয় এবং লঞ্চের অনেক যাত্রী তারা কৌশলে ফেরিঘাট থেকে নৌকায় উঠিয়ে যাত্রী পারাপার করছে।

এ ব্যাপারের বালাসী ঘাটে বিআইডবিউটিএ প্রতিনিধি বার্দিং সারেং মোদাব্বের জানান, নদীর নাব্যতা দ্রুত পরিবর্তন হওয়ায় অনেক সময় যাত্রীরা লঞ্চর পরিবর্তে নৌকায় পারাপার হয়।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ বাহাদুরাবাদ-বালাসী নৌ রুটে ইজারাদারের অনিয়মসহ যাত্রী ভোগান্তী রোধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন এটাই প্রত্যাশা লঞ্চ মালিক ও যাত্রী সাধারণের।