দেওয়ানগঞ্জে ফসলি জমির মাটি কাটার মহোৎসব
বিল্লাল হোসেন মন্ডল, দেওয়ানগঞ্জ প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম : জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ফসলি জমি থেকে মাটিকাটার মহোৎসব চলছে। ফলে অনেক পরিবারের লোকজন ঝুঁকিতে পড়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার সীমান্তবর্তী ডাংধরা ইউনিয়নের কদমতলা, মাখনেরচর, পাশানপুরের বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে বিক্রি করছে একটি প্রভাবশালী মহল। দিনরাত ভেকু দিয়ে মাটি কেটে তা বিভিন্ন ইটভাটায় নেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, যেখান থেকে মাটি কাটা হচ্ছে সেখানে খালে পরিণত হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি নামলে এলাকাটি নদী হয়ে যাবে। পানির স্রোতে ব্রীজ ও পাকা সড়কসহ কদমতলী পাশানপুর পূর্বপাড়া নিমাইমারী গ্রামের ৫-৬ হাজার পরিবারের সদস্য ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
২৮ ডিসেম্বর সকালে সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার সীমান্তবর্তী ডাংধরা ইউনিয়নের কদমতলা পাশানপুর এবং মাখনেরচরের বিস্তীর্ণ এলাকায় ভুট্টা, সরিষাসহ বিভিন্ন শস্যক্ষেত থেকে মাটি কাটছে খনন যন্ত্র (ভেকু) দিয়ে গভীর গর্ত করে মাটি কাটা হচ্ছে। মাটিবাহী গাড়ি চলাচলের জন্য কৃষি জমির মাঝখান দিয়ে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা সংলগ্ন রৌমারী রাজিবপুরেও মাটি কাটা হচ্ছে। কৃষিজীবীদের ফাঁদে ফেলে ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি কম দামে কিনে ইটভাটাসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করছে কয়েকটি চক্র। আর ইটভাটা মালিকেরা ভালোমানের মাটি কম দামে পাওয়ায় তা কিনে নিচ্ছেন।
ডাংধরা ইউনিয়নের স্থানীয় সমাজসেবক প্রকৌশলী আতাউর রহমান বলেন, দিনরাত দুটি ভেকু দিয়ে মাটি কেটে ৩০-৪০টি ট্রাকে করে পাচার করা হচ্ছে। মাটি কাটার ফলে সেখানে খাল তৈরি হয়েছে। বর্ষায় পাঁচ গ্রামের ৫-৬ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে। স্থানীয় প্রভাবশালী শাহিন, ছয়েন উদ্দিন, দুই ভাই ও আমিনুল মাটি কেটে বিক্রি করছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে।
প্রবীণ শিক্ষক আবু সাইদ জানান, ফসলি জমি না কাটার জন্য তাদের অনুরোধ করেছি। তারা কোনো কর্ণপাত করে নাই। বিষয়টি দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করা হয়েছে।