বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্ক অত্যন্ত ভাল : মোমেন

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ বাংলাদেশের ওপর নতুন করে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সকল জল্পনা-কল্পনাকে উড়িয়ে দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন আজ বলেছেন, ঢাকা ও ওয়াশিংটনের মধ্যে সম্পর্ক “অত্যন্ত ভাল”।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএস)-এ এক সেমিনারে যোগদানের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত ভাল। আমাদের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক থাকার জন্যই তারা (ওয়াশিংটন) আমাদেরকে নানা বিষয়ে পরামর্শ দেয়।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঢাকা ও ওয়াশিংটনের মধ্যে বহু দ্বিপাক্ষিক যোগাযোগ রয়েছে। চলতি বছরই আমাদের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের ১৬টি বৈঠক হয়েছে। নতুন করে আরো মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে সরকার উদ্বিগ্ন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এখানে উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো কিছু নেই।’ তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র হাজারো নিষেধাজ্ঞা দেয় এবং তাদের নিষেধাজ্ঞা এক দিক দিয়ে আসে এবং অন্য দিক দিয়ে যায়। এমন অনেক উদাহরণ আছে যে, যুক্তরাষ্ট্র বহু ক্ষেত্রে আবার তাদের নিষেধাজ্ঞা তুলেও নিয়েছে।

‘রিসার্চ করোকিয়াম ২০২২’ শীর্ষক এই সেমিনারটির আয়োজন করে বিআইআইএস। সংগঠনের চেয়ারম্যান অ্যাম্বাসেডর কাজী ইমতিয়াজ হোসেন ও মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শেখ পাশা হাবিব উদ্দিনও বক্তব্য রাখেন।

তিনটি অধিবেশনে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি অধিবেশনে তিনজন করে বক্তা, তাদের বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট সাম্প্রতিক গবেষণালব্ধ বিষয়গুলো উপস্থাপন করেন।

প্রথম অধিবেশনটি ছিল বাংলাদেশের আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটের ওপর। এতে সভাপতিত্ব করেন বিআইআইএস চেয়ারম্যান। দ্বিতীয় অধিবেশনটি ছিল নিরাপত্তা ও কৌশলগত বিষয়ের ওপর। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের সাবেক চিফ অব আর্মি স্টাফ জেনারেল (অবঃ) মো. আব্দুল মুবিন। তৃতীয় অধিবেশনটি ছিল ‘কূটনীতি ও আলাপ-আলোচনা’-র ওপর। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. ইমতিয়াজ আহমেদ।

আলোচনা ও উপস্থাপনায় বক্তারা জাতীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোর ওপর আলোকপাত করেন, যাতে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও উন্নয়নসংক্রান্ত বিষয়গুলো অন্তর্ভূক্ত ছিল।

এলডিসি-তে উত্তরণ, জলবায়ু কূটনীতি ও কপ ২৭, সাইবার নিরাপত্তা, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব এবং মার্কিন-চীন প্রতিযোগিতাসহ কিছু প্রাসঙ্গিক ইস্যুও আলোচনায় স্থান পায়।

আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে, বাংলাদেশের বিদেশী মিশনগুলো রপ্তানী ও বাজার বহুমুখীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। বক্তারা অর্থনৈতিক কূটনীতির ওপরও গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়াও তারা সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও বঙ্গোপসাগরকে ঘিরে প্রতিযোগিতা এবং সফট পাওয়ার ডিপ্লোমেসির ওপরও গুরুত্বারোপ করেন, যা সমমনা দেশগুলোর কুটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।