চতুর্থবারের প্রচেষ্টায় আফ্রিকান দল হিসেবে সফল মরক্কো

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ পর্তুগালকে ১-০ গোলে পরাজিত করে গতকাল প্রথম আফ্রিকান দল হিসেবে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে মরক্কো।

এর আগে তিনটি আফ্রিকান দল কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিলেও শেষ পর্যন্ত দীর্ঘ অপেক্ষার পর ওয়ালিদ রেগ্রাগুইয়ের দল বিশ্বকাপের সেমিফানালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। ১৯৯০ বিশ্বকাপে ক্যামেরুন এবং ২০০২ ও ২০১০ বিশ্বকাপে যথাক্রমে সেনেগাল ও ঘানা আফ্রিকানদের স্বপ্ন দেখালেও শেষ চারে উঠতে পারেনি।

প্রথম আফ্রিকান দল হিসেবে ৯০’ ইতালি বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছি ক্যামেরুন। আফ্রিকার অদম্য সিংহ হিসেবে পরিচিত ক্যামেরুন শেষ ষোলতে কলম্বিয়াকে পরাজিত করে ববি রবসনের ইংল্যান্ডের মোকাবেলা করেছিল কোয়ার্টার ফাইনালে। ২৫ মিনিটে ডেভিড প্লাটের গোলে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। কিন্তু বিরতির পর ৩৮ বছর বয়সী রজার মিলা নেমেই ম্যাচের চেহারা পাল্টে দেন। মিলার আদায় করা পেনাল্টি থেকে ৬১ মিনিটে এমানুয়েল কুন্ডে ক্যামেরুনকে সমতায় ফেরান। এর চার মিনিট পর ইউগেনে আফ্রিকান দলটিকে এগিয়ে দেন। কিন্তু গ্যারি লিনেকারের ৮৩ মিনিটের পেনাল্টিতে সমতা ফিরিয়ে অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচটি নিয়ে যায় ইংল্যান্ড। ১০৫ মিনিটে লিনেকার আরো একটি পেনাল্টি থেকে ক্যামেরুনের স্বপ্ন ভঙ্গ করে ৩-২ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে। পরাজয় সত্বেও নেপলসের সান পাওলো স্টেডিয়ামে দর্শকদের অকুন্ঠ ভালবাসা আদায় করে নিয়েছিল ক্যামেরুন। ঐ আসরে তারা আর্জেন্টিনাকে ১-০ গোলে হারানোর মধ্য দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করেছিল।

২০০২ দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান বিশ্বকাপে সেনেগাল প্রথমবারের মত বিশ্বমঞ্চে খেলতে এসেই দুর্দান্ত পারফরমেন্স দেখিয়েছিল। আফ্রিকান সিংহরা প্রথম ম্যাচে তখনকার চ্যাম্পিয়ন ও ফেবারিট ফ্রান্সকে ১-০ গোলে হারিয়ে আসর শুরু করেছিল। এরপর ডেনমার্কের সাথে ১-১ ও উরুগুয়ের সাথে ৩-৩ গোলে ড্র করে শেষ ষোলতে সুইডেনকে ২-১ গোলে পরাজিত করে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল। শেষ আটে অবশ্য তুরষ্কের সাথে আর পেরে উঠেনি। ৯০ মিনিটের নির্ধারিত খেলা গোলশুন্য ড্র থাকার পর অতিরিক্ত সময়ের চার মিনিটে ইয়ান মানসিজের গোল্ডেন গোলে সেনেগালের কপাল পুড়ে।

বিশ্বকাপে এটাই ছিল সর্বশেষ গোল্ডেন গোলের আসর। ২০০৬ সাল থেকে অতিরিক্ত সময়ের স্বাভাবিক নিয়ম পুনরায় চালু হয়।

২০১০ বিশ্বকাপে শেষ আটে উরুগুয়ের সাথে নির্ধারিত সময়ের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল সেনেগাল । অতিরিক্ত সময়ের একেবারে শেষ মিনিটে লুইস সুয়ারেজ হাত দিয়ে ইচ্ছা করে গোল লাইনের উপর থেকে বল সড়িয়ে লাল কার্ড দেখে মাঠত্যাগ করেছিলেন। এই ফাউল থেকে আদায় করা পেনাল্টিতে আসামোয়া গায়ান বল বারে লাগালে ম্যাচটি গড়ায় পেনাল্টি শ্যুট আউটে, যেখানে উরুগুয়ে ৪-২ গোলে জয়ী হয়ে শেষ চার নিশ্চিত করেছিল।