সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সফেন আর নেই

সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ফারহান জাহেদী সফেনের জানাজায় অংশ নেন হাজারো মানুষ। ছবি : মুত্তাছিম বিল্লাহ

মুত্তাছিম বিল্লাহ্, মেলান্দহ প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম : জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক পৌর মেয়র আওয়ামী লীগনেতা ফারহান জাহেদী সফেন আর নেই। ২১ সেপ্টেম্বর রাতে মেলান্দহ পৌরসভার চাকদহ গ্রামে তার নিজ বাড়িতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫১ বছর।

২২ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টার দিকে মেলান্দহ উমির উদ্দিন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নামাজে জানাজা শেষে চাকদহ সরদারবাড়ি পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ জানাজায় অংশ নেন।

ফারহান জাহেদী সফেন মেলান্দহ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, মেলান্দহ উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অনেক আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে শোকসন্তপ্ত পরিবার, জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগসহ রাজনৈতিক অঙ্গনে নেমে আসে শোকের ছায়া। এ উপলক্ষে তিন দিনের শোক পালন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জেলা আওয়ামী লীগ।

ফারহানের বড় ভাই মেলান্দহ পৌরসভার মেয়র শফিক জাহেদী রবিন সাংবাদিকদের জানান, ফারহান জাহেদী সফেন সপরিবারে ঢাকায় থাকতেন। ২১ সেপ্টেম্বর দুপুরে ঢাকা থেকে আন্তঃনগর তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনে একা বাড়িতে ফেরেন। রাত ৯টায় তিনি না খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত সাড়ে দশটায় খাবারের জন্য ডাকতে গিয়ে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

আওয়ামী লীগনেতা ফারহান জাহেদী সফেনের মৃত্যুতে শোকসন্তপ্ত পরিবারের স্বজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা ও শোক প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এমপি, সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী মোজাফফর হোসেন এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহামেদ চৌধুরী, মেলান্দহ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রকৌশলী কামরুজ্জামান, জামালপুর পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাহমুদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ সাধারণ সম্পাদক মো. জিন্নাহ্। এছাড়াও জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা সফেনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।