সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গাছ কাটার অভিযোগ

সরিষাবাড়ী প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম: জামালপুরর সরিষাবাড়ী উপজলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বদরুল হাসানের বিরুদ্ধে ৫টি পুরনো গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছ। এতে সরকারি কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে গাছগুলো কেটে বিক্রি করে দিয়েছেন এ কর্মকর্তা। তার এমন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে হাসপাতাল ঘিরে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। ২২ জুন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর পর্যায়ক্রমে বেশ কিছু বনজ গাছ লাগানো হয়। গাছগুলোর বয়স প্রায় অর্ধশত বছর। হঠাৎ করে ২২ জুন দিনভর স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে ৩টি মেহগনি ও ২টি কড়ই গাছ কেটে ফেলা হয়। এ নিয়ে হাসপাতালের ডাক্তার, কর্মচারি ও স্থানীয়দের মধ্যে নানা প্রকার গুঞ্জন এবং চাপা ক্ষোভ বিরাজ করে আসছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের একাধিক কর্মচারি জানান, ওই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা যোগসাজসে হাসপাতাল খাদ্য সরবরাহকারী ঠিকাদার আব্দুল কদ্দুছের কাছে গাছগুলো বিক্রি করে দিয়েছেন।

উপজেলা বন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত) সরওয়ার জাহান বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাছ কাটার বিষয় নিয়ে কেউ বন বিভাগের অনুমতি নেয়নি। যদি অনুমতি নিতো তাহলে গাছের পরিমাপ করে মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হতো।

উপজলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বদরুল হাসান বলেন, হাসপাতাল কমপ্লেক্স মসজিদের উন্নয়নের জন্য ২টি গাছ কাটা হয়েছে। এ গাছ বিক্রির ১৫ হাজার ২শত টাকা মসজিদের তহবিলে জমা দেওয়া হয়েছ। এ ঘটনায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ২টি গাছ কাটার জন্য উপজেলা মাসিক সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে রেজুলেশনের মাধ্যমে অনুমতি নেওয়া হয়েছে। কিন্তু বন বিভাগের কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। তবে দুটির বেশি গাছ কেটে থাকলে তদন্ত করে দেখা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপমা ফারিসা বলেন, গত মাসিক সভায় দুটি গাছ কাটার বিষয় নিয়ে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আলোচনা করলে তা অনুমতি দেওয়া হয়। দুটি গাছের বিপরীতে পাঁচটি গাছ কাটা হয়েছে শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পরে আরও দুটির অনুমতি দেওয়া হয়। গাছগুলো তাড়াতাড়ি না কাটলে সেখানে জাইকার অর্থায়নে একটি ভবন করতে পারছিল না স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। বন বিভাগ গাছগুলোর দাম নির্ধারণ করেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন সেটা তো দীর্ঘ মেয়াদি প্রচেষ্টা। এ কথা বলে মুঠোফোন কেটে দেন তিনি।