জামালপুরে এপি সিএফদের দুইদিনব্যাপী প্রশিক্ষণের উদ্বোধন

প্রশিক্ষণে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক চিকিৎসক মাহফুজুর রহমান সোহান । ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর, বাংলারচিঠিডটকম : স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও ওয়াস কমিউনিটি সহায়কদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং কার্যক্রম বাস্তবায়নে কৌশলগত জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য ১৪ নভেম্বর জামালপুরে দুইদিনব্যাপী মৌলিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন জামালপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক চিকিৎসক মাহফুজুর রহমান সোহান।

হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম। মুখ্য আলোচক ছিলেন ওয়ার্ল্ড ভিশন জামালপুর এরিয়া প্রোগ্রাম (এপি) এর ব্যবস্থাপক সাগর ডি কস্তা। প্রশিক্ষণে সহায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন উন্নয়ন সংঘেন এপি ব্যবস্থাপক মিনারা পারভীন, বিংগস প্রকল্পের পুষ্টি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান, এপির সিডিও মারিও মুক্তি মন্ডল, সাব্বির হোসেন রিয়াদ, আফরোজা বেগম। প্রশিক্ষণে ৩৫ জন কমিউনিটি সহায়ক অংশ নেন।

শিশুদের মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্যে খানার স্থায়ী আয়ের উৎসে সহযোগিতা, মা ও শিশুর স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, ওয়াস, শিশু সুরক্ষা এবং অংশগ্রহণ কার্যক্রমের মাধ্যমে সমাজের অবস্থা উন্নতির লক্ষ্যে জামালপুরে শুরু হয়েছে এরিয়া প্রোগ্রাম (এপি) নামে ১০ বছর মেয়াদী কর্মসূচি। জামালপুরের ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বেসরকারি সংস্থা উন্নয়ন সংঘ এপি বাস্তবায়ন করছে।

প্রশিক্ষণ সূত্র জানায়, উন্নয়ন সংঘ কর্তৃক এরিয়া প্রোগ্রামটি জামালপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীরচর, শরিফপুর ইউনিয়ন এবং জামালপুর পৌরসভার ১, ১০, ১১, ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডে বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এই কর্মসূচির আওতায় ৩৯টি গ্রামে ১৯ হাজার ৪৮৬ জন উপকারভোগী নির্বাচন করা হয়েছে। কর্মসূচির সকল কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করতে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ নিয়ে গ্রাম উন্নয়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে। কার্যক্রমের মধ্যে জীবিকায়ন, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, ওয়াস এবং স্পন্সরশীপ অন্যতম। এরমধ্যে আবার খানা জরিপ, দক্ষতা উন্নয়ন, পরিবেশ সম্মত গ্রাম প্রতিষ্ঠা, জিঙ্ক ধান উৎপাদন, অতিদারিদ্রের উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, দল গঠন, সক্ষমতার বিকাশ ঘটানো, প্রসবপূর্ব ও প্রসব পরবর্তী সেবা, শিশু অধিকার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি, বিপদাপন্ন শিশুর তালিকা তৈরিসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। কর্মসূচি বাস্তবায়নে অর্থায়ন করছে হংকং ।