নিরক্ষরমুক্ত জামালপুর প্রতিষ্ঠায় সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে : আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসে জেলা প্রশাসক মুর্শেদা জামান

জামালপুরে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মুর্শেদা জামান। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

বিশাল একটা জনগোষ্ঠীকে নিরক্ষরতার অন্ধকারে নিমজ্জিত রেখে উন্নয়নের গতিধারা প্রবল রাখা সম্ভব নয় বলে বর্তমান সরকার সাক্ষরতা অভিযানকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিয়েছে। দেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় জামালপুরে নিরক্ষরতার হার বেশি থাকায় আমাদের আরো বেশি সমন্বিত উদ্যোগে কাজ করতে হবে। আমাদের অভিযানকে করোনায় অনেকটা ক্ষতি করলেও আমরা যদি ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করতে পারি তাহলে ক্ষতি অনেকটা পুষিয়ে উঠা সম্ভব। নিরক্ষরমুক্ত জামালপুর প্রতিষ্ঠায় সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কথাগুলো বলেন জামালপুরের জেলা প্রশাসক মুর্শেদা জামান। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘লিটারেসি ফর হিউম্যান-সেন্টার্ড রিকভারি: ন্যারোয়িং দ্যা ডিজিটাল ডিভাইড’।

৮ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোকলেছুর রহমান। এতে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক মো. কবীর উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সৈয়দ আতিকুর রহমান ছানা, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক, উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিচালক ও জামালপুর প্রেসক্লাবের সদস্য জাহাঙ্গীর সেলিম, জামালপুর সদর উপজেলার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন, জামালপুর জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক হালিমা খাতুন, জামালপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেহনাজ হক চৌধুরী, সিংহজানি কাচারীপাড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তপন কুমার সরকার, সুলতান নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, জামালপুর থেকে নিরক্ষতার অভিশাপ মুছতে হলে সরকারের পাশাপাশি এনজিওদের এগিয়ে আসতে হবে। দুর্যোগ মোকাবেলায় সমন্বিত উদ্যোগে বিপদাপন্নতা কমাতে হবে। দারিদ্র বিমোচন এবং গ্রামীণ জীবনে নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধির পাশাপাশি ব্যপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। জীবনব্যাপী শিক্ষা কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।