বকশীগঞ্জে বন্যার পানি বাড়ছে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, তলিয়ে গেছে কৃষকের স্বপ্ন!

বকশীগঞ্জে বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ফসলের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জিএম ফাতিউল হাফিজ বাবু, বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও দশানী নদী ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হচ্ছে।

বন্যায় সাধুরপাড়া, বগারচর, নিলক্ষিয়া ও মেরুরচর ইউনিয়নের একাংশের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বন্যার কারণে সাধুরপাড়া ইউনিয়নের চর কামালের বার্তী ১১৫ ফুট দৈর্ঘ্যের কাঠের একটি সাঁকো ভেঙে গিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

এছাড়াও সাধুরপাড়া ইউনিয়নের বিলের পাড়, ডেরুরবিল, চর গাজির পাড়া, বাংগালপাড়া, কুতুবের চর, আচ্চাকান্দি, কামালের বার্তী, চর কামালের বার্তী, চর আইরমারী, আইরমারী খান পাড়া, মদনের চর, তালতলা, মেরুর ইউনিয়নের ঘুঘরাকান্দি, পূর্ব কলকিহারা, মাইছানিরচর, ভাটি কলকিহারা, উজান কলকিহারা, ফকিরপাড়া গ্রামের নিম্নাঞ্চল এখন প্লাবিত হয়েছে।

সাধুরপাড়া ইউনিয়নের কামালের বার্তী গ্রামের একটি সবজি ক্ষেত হাবুডুবু খাচ্ছে পানিতে। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

এসব গ্রামের রোপা আমনের ক্ষেত সম্পূর্ণ বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। এতে করে কৃষকের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেখা দিয়েছে। বন্যার পানিতে কৃষকের স্বপ্ন রোপা আমন ক্ষেত পানি তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আলমগীর আজাদ জানান, এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৫৮০ হেক্টর জমির রোপা আমন বন্যার পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। তবে পানি দীর্ঘস্থায়ী হলে কৃষকের অনেক ক্ষতিসাধন হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুন মুন জাহান লিজা জানান, বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাধুরপাড়া, মেরুরচর, বগারচর ও নিলক্ষিয়া ইউনিয়নে মানবিক সহায়তা কর্মসূচি থেকে (প্রতিটি ইউনিয়নে ১ লাখ করে টাকা) ৪ লাখ টাকা ও প্রতি ইউনিয়নে এক মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।