শেরপুরে বজ্রাঘাতে দুই কিশোরসহ চারজনের মৃত্যু: আহত ৪

নকলায় বজ্রপাতে নিহত আজিজুল হক, পাশে পরিবারের সদস্যদের আহাজারি। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর
বাংলারচিঠিডটকম

শেরপুরে মুষলধারে বৃষ্টির সাথে বজ্রপাতের ঘটনায় বজ্রাঘাতে দুই কিশোরসহ চারজন মারা গেছে। এছাড়া গুরুত্বর আহত হয়েছেন আরো চারজন। আজ বুধবার জেলার পৃথক পৃথক স্থানে ওই বজ্রপাতের ঘটনায় এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, আজ বিকালে শ্রীবরদী উপজেলার গোসাইপুর গ্রামে আরমান (১২) নামে এক কিশোর বৃষ্টির মধ্যে সড়কে হেঁটে যাওয়ার সময় বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এ সময় বজ্রাঘাতে ওই কিশোর ঘটনাস্থলেই মারা যায়। আরমান তার নানা আলমাসের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। তার পার্শ্ববর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার পাইকুড়া গ্রামে। সে ওই গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে।

এছাড়া সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামে আমন ধান ক্ষেতে চারা রোপন করছিলেন কয়েকজন কৃষক। এ সময় হঠাৎ বৃষ্টিসহ বজ্রপাত শুরু হয়। এ ঘটনায় স্থানীয় আব্দুল খালেকের ছেলে বজ্রাঘাতে মোস্তফা মিয়া (৪০) ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহত হন জোসনা আলীর ছেলে আবু সাঈদ (৩৪) ও ফজু মিয়ার ছেলে বদু মিয়া (৩৫)। এরমধ্যে বদু মিয়াকে সদর ও আবু সাঈদকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অন্যদিকে দুপুরে নকলা উপজেলার শহরতলী গ্রাম লাভায় আমন ধান ক্ষেতে কাজ করার সময় ওই গ্রামের বদিউজ্জামানের ছেলে কৃষক আজিজুল হক (৩৫) ও আব্দুস ছালামের ছেলে বাবু মিয়া বজ্রাঘাতে গুরুত্বর আহত হন।

পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে নকলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক আজিজুল হককে মৃত ঘোষণা করেন। আর আহত বাবু ওই হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন।

এছাড়া একই সময়ে ঝিনাইগাতী উপজেলার মালিঝিকান্দা ইছামারি গ্রামে আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে কিশোর রাসেল (১৪) বজ্রপাতের ঘটনায় মারা যায়।