নকলায় করোনা গণটিকার আওতায় প্রায় সাড়ে ১৬ হাজার মানুষ

শফিউল আলম লাভলু, নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যবিধি মানার পাশাপাশি ব্যাপক ভিত্তিক টিকাদানের কোনো বিকল্প নেই। বিশেষজ্ঞদের এই মতামত আমলে নিয়েছে সরকার। টিকাদান বাড়িয়ে করোনা মহামারী নিয়ন্ত্রণে আনতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

শেরপুরের নকলা উপজেলার প্রতিটি মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গণহারে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে আগামী শনিবার (৭ আগস্ট) থেকে। ৭ থেকে ১২ আগস্টের মধ্যে ৩ দিনে নকলা উপজেলায় ৯টি ইউনিয়নে সর্বনি¤œ ১৮ বছর বয়সীসহ ১৬ হাজার ২০০ মানুষকে গণটিকা দেওয়া হবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. গোলাম মোস্তফা জানান, করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক আমরা উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে সকল স্বাস্থ্যকর্মীসহ আমাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। আগামী ৭ আগস্ট থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে গণটিকা কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে এই গণটিকা কার্যক্রমে সারাদেশের সকল উপজেলার মতো নকলা উপজেলার মোট ৯টি ইউনিয়নের প্রত্যেক ইউনিয়নের সাবেক ১ নম্বর ওয়ার্ডে মোট ৯টি কেন্দ্রে ২৭টি বুথে ৫৪ জন টিকাদান কর্মীর মাধ্যমে আগামী শনিবার থেকে ৩ দিন এই টিকাদান কার্যক্রম চলবে। প্রতিটি বুথে ২০০ জন মানুষকে ওই টিকা দেওয়া হবে। স্থায়ী কেন্দ্র হিসেবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকাদান কর্মসূচি চলমান থাকবে। পরবর্তীতে টিকা আসলে বাকীদের টিকা প্রদান করা হবে।

তিনি সফলভাবে টিকাদান কর্মসূচিকে বাস্তবায়নের জন্য উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা কামনা করেন।