করোনা আক্রান্ত হয়ে শেরপুরে এ পর্যন্ত ৭১ জনের মৃত্যু

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর
বাংলারচিঠিডটকম

গত চব্বিশ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শেরপুরে আরও একজনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে জেলায় এ ভাইরাসে মোট ৭১ জনের মৃত্যু হল। অন্যদিকে গত চব্বিশ ঘন্টায় ১১৯টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ২৪ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। ৩১ জুলাই দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন চিকিৎসক আবুল কাশেম মোহাম্মদ আন্ওয়ারুর রউফ।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, জেলার সদর উপজেলাসহ নকলা, নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী থেকে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে এ পর্যন্ত ২১ হাজার ১৪০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে আর.টি.পি.সি.আর নমুনা নেয়া হয় ১৪ হাজার ২৭ জনের। এবং রেপিড এন্টিজেন টেস্ট করা হয় ৭ হাজার ১১৩ জনের। এরমধ্যে ২০ হাজার ৭৮০টি নমুনার ফলাফল পাওয়া গেছে। আর.টি.পি.সি.আর ১৩ হাজার ৬৬৭টি ও রেপিড এন্টিজেন টেস্ট থেকে ৭ হাজার ১১৩টির ওই ফল পাওয়া যায়। তবে আর.টি.পি.সি.আর থেকে ৩৬০টি নমুনার রিপোর্ট এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

ওই রিপোর্ট অনুযায়ী এ পর্যন্ত মোট তিন হাজার ৪৬১ জন করোনা শনাক্ত হন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৫২৩ জন। বর্তমানে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৮৬৭ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন ৬০ জন। আর আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন ৬২ জন। বাকিরা নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

অন্যদিকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জেলায় এ পর্যন্ত মোট ৭৩ হাজার ৭৮৪ জন টিকা গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে ১ম ডোজ নিয়েছেন ৫১ হাজার ৮৭৭ জন এবং ২য় ডোজ নিয়েছেন ২১ হাজার ৯০৭ জন।

করোনা প্রতিরোধে জেলার প্রতিটি ইউনিয়ন এবং গ্রাম পর্যায়ে ক্যাম্পেইন করে ঘরে ঘরে করোনা পরীক্ষা করা প্রয়োজন উল্লেখ করে ডায়াবেটিক সমিতি ও পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের জেলা সভানেত্রী রাজিয়া সামাদ ডালিয়া বলেন, এভাবে পরীক্ষার মাধ্যমে যে সব রোগী শনাক্ত হবে। তাদেরকে সহজেই চিকিৎসার আওতায় আনা যাবে। শেরপুরে করোনার ভয়াবহতা রুখতে এর কোন বিকল্প নেই।

ডালিয়া বলেন, সেই সাথে প্রত্যেকের জন্য করোনার টিকা নিশ্চিত করা গেলে জেলায় করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার ঠেকানো সহজ হবে।

অন্যদিকে সচেতনতার সাথে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন সিভিল সার্জন চিকিৎসক আবুল কাশেম মোহাম্মদ আন্ওয়ারুর রউফ।

তিনি বলেন, বেশীর ভাগ করোনা আক্রান্ত রোগী বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। হাসপাতালে এখন পর্যন্ত কারও মৃত্যু হয়নি। তাই জ্বর, ঠান্ডা, কাশিসহ করোনার উপসর্গ এবং অক্সিজেন স্যাচুরেশন লেভেল ৯৩ ভাগ এর নিচে নেমে আসলে দেরি না করে হাসপাতালে এসে চিকিৎসকদের পরামর্শ নেয়া জরুরী।

প্রসঙ্গত, জেলা প্রশাসন কর্তৃক পরিচালিত ওয়েব পোর্টাল তথ্য বাতায়নে দেওয়া তথ্য মতে, এক হাজার ৩৬৩.৭৬ বর্গকিলোমিটার আয়তনের শেরপুরে প্রায় সাড়ে পনেরো লাখ মানুষের বাস।