সরিষাবাড়ীতে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর

সরিষাবাড়ীতে শেখ রাসেল ক্লাবে হামলা করে নামধারী আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা কার্যালয়সহ বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর করে।ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় শেখ রাসেল স্মৃতি বয়েজ ক্লাব নিয়ে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় নামধারী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবিসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের মাগুরিয়া পাড়া বঙ্গবন্ধু চৌরাস্তায় এ ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষে অন্তত ৭ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় ২১ ফেব্রুয়ারি দুপুরে থানায় মামলা হয়েছে।

শেখ রাসেল স্মৃতি বয়েজ ক্লাবের উপদেষ্টা মুকুল হোসেন জানান, মাগুরিয়াপাড়া বঙ্গবন্ধু চৌরাস্তায় তাদের ক্লাবের কার্যালয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের জন্য তারা প্রস্তুতি সভা করছিলেন। এসময় মাগুরিয়াপাড়া গ্রামের শরাফত আলীর ছেলে কামাল উদ্দিন, একই গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন দুদুর ছেলে জুলহাস উদ্দিন, মিনহাজ ও আলহাজের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন লোক অতর্কিত সেখানে হামলা চালায়। হামলাকারীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, তথ্য প্রতিমন্ত্রী চিকিৎসক মুরাদ হাসান, পৌর মেয়র মনির উদ্দিনের ছবি ও নৌকা প্রতীকের প্রতিকৃতি ভাঙচুর করে সেগুলো পার্শ্ববর্তী ডোবায় নিক্ষেপ করে। এসময় ক্লাবের সদস্যরা বাধা দিলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এ ঘটনায় ৬ জন আহত হয়। এ ঘটনায় ক্লাবের সভাপতি মোস্তাকিন মিয়া বাদী হয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি দুপুরে সরিষাবাড়ী থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেন।

ক্লাবের সভাপতি মোস্তাকিন মিয়া অভিযোগ করেন, হামলাকারীরা বিএনপির সন্ত্রাসী, কিন্তু আওয়ামী লীগের নাম নিয়ে এলাকায় নানা অপকর্ম করে বেড়ায়। তারা শেখ রাসেল ক্লাবে হামলা করে চেয়ার-টেবিলসহ অন্তত লক্ষাধিক টাকার আসবাবপত্র ভাঙচুর ও লুটতরাজ করে।

এদিকে শেখ রাসেল ক্লাবে হামলার একপর্যায়ে জনতার ধাওয়ায় হামলাকারী কামাল হোসেন আহত হয়েছে। গুরুতর অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।

এব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার এএসআই শাহাদত হোসেন এ প্রতিবেদককে জানান, বিষয়টি নিয়ে একটি লিখিত এজাহার পেয়েছি। সরেজমিন পরিদর্শন ও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।