মেলান্দহে মামলা করে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

সাংবাদিক সম্মেলন

মুত্তাছিম বিল্লাহ্, মেলান্দহ থেকে
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের মেলান্দহে মিথ্যা অভিযোগে মামলা দায়ের করে হয়রানি ও বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলার নয়ানগর গ্রামের বিল্লাল হোসেন ও তার পরিবার। ৫ জানুয়ারি বেলা ১১টায় নয়ানগর গ্রামের সাগর ভিলায় সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেন যুবলীগকর্মী ভুক্তভোগী বিল্লাল হোসেনের পরিবার।

বিল্লাল ও তার পরিবার লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, বিল্লালের স্ত্রী শ্যামলীর ভাতিজা দিঘলবাড়ি গ্রামের সুলতান শেখের ছেলে রমজান আলী (৩২) হলুদ-জিরা-মসলার ব্যবসার কথা বলে ১০ লাখ ৬০ হাজার টাকা নেয়। বিল্লালের পাওনা টাকা দেই দিচ্ছি বলে সময় ক্ষেপন করে। এ নিয়ে দেনদরবার করে কোন প্রকার মিমাংসা না হওয়ায় একপর্যায়ে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়।

তিনি আরও জানান, রমজান খেলার মাঠ ও সরঞ্জামের জন্য দরখাস্তের কথা বলে গ্রামের সহজ সরল লোকদের কাছ থেকে গণস্বাক্ষর নেয়। গণস্বাক্ষরের টপসিট পরিবর্তন করে আমার বিরুদ্ধে মাদক-ইয়াবা সেবি ও বিক্রেতা উল্লেখ করে ডিসি, এসপি, র‌্যাব, সাংবাদিক, পত্র-পত্রিকা অফিসসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ দায়ের করে রমজান আলী ও তার সহযোগিরা। অভিযোগের প্রেক্ষিতে র‌্যাব আমাকে গ্রেপ্তার করে। আমি ৬ দিন কারাভোগের পর জামিন পাই। ইতোমধ্যেই এই কৃত্রিম অভিযোগের তদন্ত শুরু হলে বিষয়টি আমার কাছে পরিষ্কার হয়।

সর্বশেষ, গত ২৫ ডিসেম্বর রাতে রমজান আলী ও তার লোকজন নয়ানগর গ্রামের আজিম উদ্দিনের ছেলে মমিনকে (৩৫) ধরে নিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন পূর্বক তার কাছ থেকে আমার বিরুদ্ধে ইয়াবা সরবরাহের মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক স্বীকারোক্তি আদায় করে। এ সংক্রান্ত একটি খবরও পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে ক্রমাগত ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ-প্রতিকার চাই। একই সাথে এহেন ভিত্তিহীন খবরের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন- বিল্লাল হোসেনের ছেলে মো. সাগর মিয়া।

এ ব্যাপারে রমজান আলীর ষড়যন্ত্রের শিকারের কথা স্বীকার করে মমিনুল হক বলেন, ২৫ ডিসেম্বর আমাকে ধরে নিয়ে জোরপূর্বক বিল্লালের বিরুদ্ধে স্বীকারোক্তি নেয়া হয়। প্রাণনাশের ভয়ে আমি বিল্লালের বিরুদ্ধে জবানবন্দি দিয়েছি।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন- মেলান্দহ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোছাব্বীর হোসেন শীমীম, ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুস সামাদ, সংরক্ষিত মহিলা আসনের ১,২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোছা. মর্জিনা বেগম, সাবেক কাউন্সিলর জয়নব বেগম, মেলান্দহ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. আলমগীর হোসেন।