সরিষাবাড়ী পৌরসভার মেয়র প্রার্থী বদলের দাবিতে বিক্ষোভ

মেয়র প্রার্থী বদলের দাবিতে বিক্ষোভ। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী বদলের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন হয়েছে। পৌরসভার শিমলা বাজার এলাকায় ২৭ ডিসেম্বর বিকেলে ‘সরিষাবাড়ী পৌরসভার সর্বস্তরের জনগণ’- এর ব্যানারে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

জানা গেছে, ২৭ ডিসেম্বর বিকেল ৩টার দিকে শিমলা বাজার এলাকায় একটি সমর্থেন পক্ষের ঈন্ধনে নৌকার মেয়র প্রার্থী পুনঃবিবেচনার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। বাজারের পার্শ্ববর্তী কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে পৌরসভার কিছু লোকসহ পার্শ্ববর্তী কামরাবাদ ইউনিয়নের লোকজন ও শিমলা বাজারের ব্যবসায়ীদের যোগদান করানো হয়।

এসময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক সোহাগ সরকার, উপজেলা ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ইয়াসিন আলম শিপন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরল ইসলাম, শিমলা বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল হান্নান, সনজিত কুমার, রিজভী প্রমুখ। বক্তব্য দেওয়ার সময় কয়েকজন যুবক ব্যানারে সামনে রাস্তায় শুয়ে দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানান।

এদিকে মুজিব আদর্শের নেতা হিসেবে পরিচিত মনির উদ্দিনকে বাদ দিয়ে প্রার্থী হিসেবে অন্যজনকে মনোনয়নের জন্য পুনঃবিবেচনার এ দাবিতে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিকে দলীয় অমান্যের সামিল বলে মনে করছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সুধীসমাজ। স্থানীয় সুধীমহলের মতে, মো. মনির উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও একসময়ের তুখোড় ছাত্রনেতা ছিলেন। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ দেশের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক বিভিন্ন কর্মসূচিতে যার অবদান রয়েছে। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান মনির উদ্দিন রাজনৈতিক কারণে একাধিকবার হামলা-মামলার শিকার ও কারাবরণ করেছেন। তার অনন্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে গত বছর জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ অধিবেশনে সফরসঙ্গী করেন। তাকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়াটা দলের যুক্তিযুক্ত সিদ্ধান্ত ও ত্যাগের মূল্যায়ন হয়েছে বলে তৃণমল নেতাকর্মীদের মন্তব্য।

এ ব্যাপারে শিমলা বাজারের অধিবাসী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী মঞ্জুরুল ইসলাম বিদ্যুৎ বলেন, ‘মানববন্ধনের বিষয়টি আমি শুনেছি। দল যেহেতু সিদ্ধান্ত দিয়েছে, সেটা তো মানতেই হয়। প্রার্থী পুনঃবিবেচনার দাবিতে মানববন্ধন আপনার পক্ষ থেকে হয়েছে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ‘কেউ বললে বলতে পারে। আমি যেহেতু মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলাম, পাইনি। কী আর করার আছে।’

এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ বলেন, ‘পৌর নির্বাচনে দলের মধ্যে অনেকেই মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। যাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, আমরা তাকে স্বাগত জানাই। কিন্তু প্রার্থী পুনঃবিবেচনার দাবি বঞ্চিত কারো কামনা থাকতে পারে, এটা যাতে ভুল বুঝাবুঝিতে না গড়ায় সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আমরাও দল থেকে এ ব্যাপারটা দেখবো।’