বকশীগঞ্জে ওসি-মেয়রের রাতভর অভিযানে চোরাই সিন্ধুক উদ্ধার, আটক-৮

বকশীগঞ্জ থানায় ইউএনও মুন মুন জাহান লিজা ও সিন্ধুকের মালিক কফিল উদ্দিনের উপস্থিতিতে সিন্ধুকটি খোলা হয়। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের বকশীগঞ্জ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম সম্রাট ও পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগরের রাতভর অভিযানে চুরি হওয়া সিন্ধুক উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে ৮ চোরকে।

১৬ ডিসেম্বর সকালে পৌর এলাকার দড়িপাড়া গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে সিন্ধুকটি উদ্ধার করা হয়। পরে থানায় নিয়ে সিন্ধুকটি খুলে ৫ লাখ ৭২ হজার নগদ টাকা, জমির বিভিন্ন দলিলপত্র বের করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে বকশীগঞ্জ পৌর শহরের ময়েজ উদ্দিনের ছেলে কফিল উদ্দিনের ঘর থেকে প্রায় ৮ মন ওজনের একটি লোহার সিন্ধুক চুরি হয়ে যায়। বিষয়টি জানাজানি হলে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ লোহার সিন্ধুকটি উদ্ধারের জন্য সর্বাত্বক প্রচেষ্টা চালাতে থাকেন। এ ঘটনায় চোর সন্দেহে বিভিন্ন স্থান থেকে ৮ চোরকে আটক করা হয়।

আটকরা হলেন- দড়িপাড়া গ্রামের নুরুল মিয়ার ছেলে লিটন মিয়া, ফকির মিয়ার চেলে সুজন মিয়া, ফকির আলীর ছেলে হেবুল মিয়া, ধুন মিয়ার ছেলে সাহিদিন, মমতাজ মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়া, আবুলের ছেলে রমজান আলী, শুকুর আলীর ছেলে বিল্লাল হোসেন ও হাবিুর রহমানের ছেলে রুবেল মিয়া।

ওই চোরদের দেওয়া তথ্যমতে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ সর্বশক্তি দিয়ে মাঠে নামেন। এদিকে পুলিশকে সহযোগিতা করতে বকশীগঞ্জ পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগর নিজেও সিন্ধুকটি উদ্ধারের চেষ্টা চালায়।

বকশীগঞ্জ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম সম্রাট ও মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগর ১৫ ডিসেম্বর রাতে দড়িপাড়া এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক অভিযান শুরু করেন। নির্ঘুম রাত কাটিয়ে ১৬ ডিসেম্বর সকালে দড়িপাড়া গ্রামের সুরুজ্জামানের পরিত্যক্ত বাড়িতে সেই সিন্ধুকের খোঁজ মেলে। সিন্ধুকটি উদ্ধারের পর সকাল ১০ টার দিকে বকশীগঞ্জ থানায় নিয়ে আসা হয় এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুন মুন জাহান লিজা ও সিন্ধুকের মালিক কফিল উদ্দিনের উপস্থিতিতে সিন্ধুকটি খোলা হয়।

এ সময় সিন্ধুকের ভেতর থেকে নগদ ৫ লাখ ৭২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। সাথে পাওয়া যায় জমির বিভিন্ন দলিলপত্র।

বকশীগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি শফিকুল ইসলাম সম্রাট জানান, সিন্ধুকটি উদ্ধারের পর জমির দলিলগুলো মালিককে ফেরত দেওয়া হয়েছে এবং নগদ টাকা গুলো জব্দ করা হয়েছে। নগদ টাকাগুলো আদালতের মাধ্যমে ফেরত দেওয়া হবে।