ঢাকা ০৩:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫, ৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
একনেক সভায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫,৪৫২.৪২ কোটি টাকার খাদ্য কর্মসূচি অনুমোদন ইসলামপুর উপজেলা হাসপাতালে রোগীদের ইফতার করালেন বিএনপি নেতা বিপুল খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় জামালপুরে বিএনপি নেতাকর্মীদের দোয়া মাহফিল ভাটারা জামে মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু চেয়ারম্যান পলাতক, প্যানেল চেয়ারম্যানের দ্বায়িত্ব পেলেন ইউপি সদস্য আলমগীর বকশীগঞ্জ থানার ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ ময়মনসিংহ রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার ওপর চাপ প্রয়োগ করতে মিত্রদের আহ্বান জেলেনস্কির পাঁচ সপ্তাহ হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর ভ্যাটিকান ফিরছেন পোপ স্টারলিংক ইন্টারনেটের পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু ৯ এপ্রিল ব্যাঙ্গালুরুর কাছে হেরে আইপিএল শুরু চ্যাম্পিয়ন কলকাতার

রায়ের বাজার বধ্যভূমির দৃশ্য বিদেশীদের হতবাক করেছে

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ এনসাইক্লোপেডিয়া ও ইতিহাস বইয়ে ১৯৭১ সালের পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর চালানো গণহত্যা গত শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়ংকর হত্যাযজ্ঞ হিসেবে নথিভুক্ত হয়ে আছে।

অনেক বিদেশীই রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ডে হতবাক হয়েছেন। তারা রায়ের বাজার বধ্যভূমির দৃশ্য দেখে বিস্মিত হয়েছেন।

নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি ‘ঢাকার কাছে ১২৫ টি লাশ: সম্ভবত তারা অভিজাত বাঙালি’ শিরোনামে একটি বড়ো আকারের রিপোর্ট প্রকাশ করে।

এ রিপোর্টে পরাজয়ের ঠিক আগে আগে কিভাবে পাকিস্তানী বাহিনী ও তার বাঙালি দোসররা বাংলাদেশকে একটি মেধাশূন্য রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা করেছিল তা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়।

বধ্যভূমির অন্যতম এক প্রত্যক্ষদর্শী ভারতীয় সাংবাদিক বিকাচ চৌধুরী। তিনি আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান নিয়ে রিপোর্ট করতে ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় এসেছিলেন। তিনি লিখেছেন, সর্বত্র আনন্দমুখর পরিবেশ সত্ত্বেও রায়ের বাজার বধ্যভূমির দৃশ্য তাকে প্রচন্ড হতবাক করে দিয়েছিল।

তিনি বলেন, একটি পরিত্যক্ত ইটখোলার ভেতরে আমি অসংখ্য বিকৃত দেহ পড়ে থাকতে দেখেছি। স্থানীয় বাসিন্দারা ও ঢাকার সাংবাদিকরা আমাদের বলেছে, চূড়ান্ত বিজয়ের ঠিক আগে কিভাবে বাংলাভাষী আল বদর বাহিনী এসব নেতৃস্থানীয় বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করেছিল।

তিনি আরো বলেন, আমি এখনও চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি সাপ্তাহিক শিলাদত্তের সম্পাদকের ঝাঁঝরা লাশ কিভাবে পড়ে আছে, কিভাবে পড়ে আছে ড. ফজলে রাব্বির ক্ষতবিক্ষত লাশ।

তিনি বলেন, পাকিস্তানী বাহিনী ও তাদের বাঙালি দোসরদের নৃশংসতা পুরো বিশ্বকে হতবাক করে দিয়েছিল। কারণ, এ হত্যাযজ্ঞ আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়েছিল।

চৌধুরী আরো বলেন, কৌশলগত অসুবিধার চেয়েও সীমাহীন নৃশংসতা ও নৈতিক অবক্ষয় পাকিস্তানের পরাজয়ের মূল কারণ হয়ে উঠেছিল।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

একনেক সভায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫,৪৫২.৪২ কোটি টাকার খাদ্য কর্মসূচি অনুমোদন

রায়ের বাজার বধ্যভূমির দৃশ্য বিদেশীদের হতবাক করেছে

আপডেট সময় ০৩:৫৩:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২০

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ এনসাইক্লোপেডিয়া ও ইতিহাস বইয়ে ১৯৭১ সালের পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর চালানো গণহত্যা গত শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়ংকর হত্যাযজ্ঞ হিসেবে নথিভুক্ত হয়ে আছে।

অনেক বিদেশীই রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ডে হতবাক হয়েছেন। তারা রায়ের বাজার বধ্যভূমির দৃশ্য দেখে বিস্মিত হয়েছেন।

নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি ‘ঢাকার কাছে ১২৫ টি লাশ: সম্ভবত তারা অভিজাত বাঙালি’ শিরোনামে একটি বড়ো আকারের রিপোর্ট প্রকাশ করে।

এ রিপোর্টে পরাজয়ের ঠিক আগে আগে কিভাবে পাকিস্তানী বাহিনী ও তার বাঙালি দোসররা বাংলাদেশকে একটি মেধাশূন্য রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা করেছিল তা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়।

বধ্যভূমির অন্যতম এক প্রত্যক্ষদর্শী ভারতীয় সাংবাদিক বিকাচ চৌধুরী। তিনি আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান নিয়ে রিপোর্ট করতে ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় এসেছিলেন। তিনি লিখেছেন, সর্বত্র আনন্দমুখর পরিবেশ সত্ত্বেও রায়ের বাজার বধ্যভূমির দৃশ্য তাকে প্রচন্ড হতবাক করে দিয়েছিল।

তিনি বলেন, একটি পরিত্যক্ত ইটখোলার ভেতরে আমি অসংখ্য বিকৃত দেহ পড়ে থাকতে দেখেছি। স্থানীয় বাসিন্দারা ও ঢাকার সাংবাদিকরা আমাদের বলেছে, চূড়ান্ত বিজয়ের ঠিক আগে কিভাবে বাংলাভাষী আল বদর বাহিনী এসব নেতৃস্থানীয় বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করেছিল।

তিনি আরো বলেন, আমি এখনও চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি সাপ্তাহিক শিলাদত্তের সম্পাদকের ঝাঁঝরা লাশ কিভাবে পড়ে আছে, কিভাবে পড়ে আছে ড. ফজলে রাব্বির ক্ষতবিক্ষত লাশ।

তিনি বলেন, পাকিস্তানী বাহিনী ও তাদের বাঙালি দোসরদের নৃশংসতা পুরো বিশ্বকে হতবাক করে দিয়েছিল। কারণ, এ হত্যাযজ্ঞ আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়েছিল।

চৌধুরী আরো বলেন, কৌশলগত অসুবিধার চেয়েও সীমাহীন নৃশংসতা ও নৈতিক অবক্ষয় পাকিস্তানের পরাজয়ের মূল কারণ হয়ে উঠেছিল।