‘কোভিড নারী, মেয়েশিশু, ছেলেশিশু ও প্রান্তিক গোষ্ঠীগুলোর ওপর প্রভাব ফেলেছে সবেচেয়ে বেশি’

নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষের ১৬ দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে আর্টিকেল নাইনটিন ‘কোভিডকালে জেন্ডার সহিংসতা: ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়’ শীর্ষক একটি অনলাইন আলোচনা সভা (ওয়েবিনার) আয়োজন করে।

২৭ নভেম্বর আর্টিকেল নাইনটিন এক সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

আর্টিকেল নাইনটিন বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুখ ফয়সলের সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) জ্যেষ্ঠ উপপরিচালক (প্রোগ্রাম) নিনা গোস্বামী, ট্রান্স জেন্ডার নারী ও অধিকারকর্মী হো চি মিন ইসলাম, সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী ও অধিকারকর্মী আব্দুল্লাহ আল নোমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক স্নিগ্ধা রেজওয়ানা এবং ব্র্যাকের জেন্ডার, জাস্টিস ও ডাইভার্সিটি কর্মসূচির প্রধান সেলিনা আহমেদ।

অনুষ্ঠানে মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ সকল ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ, ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে সকল জেন্ডারের জন্য সমান অধিকার, সহিংসতার ঘটনা প্রকাশ করা, নারী ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের জানার ও তথ্য পাওয়া অধিকার প্রভৃতি বিষয়ের ওপর আলোকপাত করা হয়। আলোচনার মধ্য দিয়ে আমাদের দৈনন্দিন জীবন থেকে নীতি নির্ধারণের স্তর পর্যন্ত জেন্ডার সাম্যতা নিশ্চিত করার জন্য সকলের সম্মিলিত দায়বদ্ধতা এবং একক ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রের বাধ্যবাধকতার বিষয়গুলো উঠে আসে।

অনুষ্ঠানে জেন্ডার জাস্টিস নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে প্রচলিত আইন ও বিচার ব্যবস্থার ফাঁকফোকর এবং অনেক ক্ষেত্রে অসারতার দিকগুলো আলোচকরা তুলে ধরেন। দেশের নারী, রূপান্তরকামী, রূপান্তরিত এবং নন-বাইনারি ব্যক্তিরা যে ধরনের সহিংসতার শিকার ও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন- প্রচলিত বিচার ব্যবস্থা সেগুলো মোকাবেলায় ব্যর্থ বলে তারা মত দেন।

আর্টিকেল নাইনটিনের আঞ্চলিক পরিচালক ফারুখ ফয়সল বলেন, ‘জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা নিয়ে রাখঢাকের দিন শেষ হয়ে এসেছে। সময় এখন ‘হাটে হাঁড়ি ভেঙ্গে’ দেয়ার। এজন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। কোভিড-১৯ বিশ্বের প্রত্যেককে প্রভাবিত করেছে এবং আমাদের প্রতিদিনের জীবন বদলে দিয়েছে। তবে এটি নারী, মেয়েশিশু, ছেলেশিশু এবং প্রান্তিক গোষ্ঠীগুলোর ওপর প্রভাব ফেলেছে সবেচেয়ে বেশি। পদ্ধতিগত ব্যর্থতা বহু বছর ধরে এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়েছে এবং মহামারির কারণে এগুলো এখন আরও বেড়েছে। আর্টিকেল নাইনটিন সমাজের সকল ক্ষেত্রে জেন্ডার সমতা নিশ্চিতকরণ এবং নারী, মেয়েশিশু ও প্রান্তিক গোষ্ঠীর সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ বিষয়ে আরও উন্নত পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানায়।’