মেয়রের চেয়ারে বসে বড় পরিসরে পৌরনাগরিকদের সেবা করতে চাই : ছানোয়ার

বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ছানোয়ার হোসেন ছানু। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও আসন্ন জামালপুর পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী মো. ছানোয়ার হোসেন ছানু বলেছেন, আসছে পৌরসভা নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন দিলে আমি নির্বাচনে অংশ নিবো। এজন্য আমি পৌরসভার ভোটার জনসাধারণের কাছে দোয়া ও পূর্ণ সমর্থন চাই। জনগণ আমাকে ভোটে নির্বাচিত করলে মেয়রের চেয়ারে বসে বড় পরিসরে আমার সাধ্যমত পৌরনাগরিকদের সেবা করতে চাই।

আসন্ন জামালপুর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী আওয়ামী লীগনেতা ছানোয়ার হোসেন ছানু ১৯ নভেম্বর রাতে জামালপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।

মতবিনিময় সভায় জামালপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছানোয়ার হোসেন ছানু বলেন, আমার বাবা মো. হবিবর রহমান একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও দীর্ঘদিন জামালপুর পৌরসভার নির্বাচিত ওয়ার্ড কমিশনার হয়ে জনগণের সেবা করেছেন। এমন জনপ্রতিনিধি পরিবারের সন্তান হওয়ার সুবাদে শৈশব থেকেই সমাজের মানুষের সাথে উঠাবসা ও সেবা করা শিখেছি। আমি নিজে একজন ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে খেলাধুলাসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের উন্নয়নে নিয়মিত পাশে থেকে সহযোগিতা করি। ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে শুরু করে বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ একটি পদে থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হয়ে মানুষের সেবা করার অনেক সুযোগ পেয়েছি। কিন্তু রাজনৈতিক পদের চেয়ারের চাইতে জনপ্রতিনিধির চেয়ারে বসতে পারলে সর্বস্তরের মানুষের সেবা করা ও উন্নয়নে অবদান রাখার সুযোগ একটু বেশিই থাকে। তাই আমি পৌরসভার মেয়র পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাই।

তিনি বলেন, আমি জনপ্রতিনিধি না হয়েও সমাজসেবায় এবং সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষের পাশে থেকে আমার সাধ্যমত সেবা দিতে চেষ্টা করি। জামালপুর পৌরসভার দুই পাশ দিয়ে ঝিনাই ও ব্রহ্মপুত্র দুটি নদী বয়ে গেছে। দুটি নদী থাকার পরও জামালপুর শহরে জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ সৃষ্টি হওয়ার কথা নয়। শুধু জলাবদ্ধতাই নয়, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, যানজট, বিশুদ্ধ পানি, রাস্তার বাতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রকল্পে প্রতিবছর অনেক উন্নয়ন হলেও শুধুমাত্র সঠিক পরিকল্পনার অভাবে টেকসই হচ্ছে না। জামালপুর পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের বেশির ভাগ এলাকা এখনো গ্রামের মতো রয়ে গেছে। জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে জামালপুরের উন্নয়নের রূপকার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপির সার্বক্ষণিক পরামর্শে বিশেষ পরিকল্পনা মাফিক পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের উন্নয়নে কাজ করে যাবো। প্রতিটি ওয়ার্ডেই শহরের সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দিবো। আমি এমনভাবে উন্নয়ন করতে চাই, যেন যে কেউ যেকোনো ওয়ার্ডে গেলে একনজর দেখেই বলতে পারবে যে এটা সাত নম্বর ওয়ার্ড, এটা অমুক ওয়ার্ড। এটা তমুক ওয়ার্ড।

সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী মো. ছানোয়ার হোসেন ছানু বলেন, আসছে পৌরসভা নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন দিলে আমি নির্বাচনে অংশ নিবো। এজন্য আমি পৌরসভার ভোটার জনসাধারণের কাছে দোয়া ও পূর্ণ সমর্থন চাই। আমি জামালপুর পৌরসভাকে একটি আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন একটি মডেল পৌরসভায় রূপান্তরের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে চাই। তিনি আরো বলেন, দলীয় সভাপতি জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মেয়র পদে মনোনয়ন না দিয়ে দলের অন্য কাউকে যদি মনোনয়ন দেন, সেক্ষেত্রেও আমি নির্বাচনের মাঠ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিবো না। যাকেই প্রার্থী করা হবে, তাকেই নির্বাচিত করার জন্য আমার শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও তাকে বিজয়ী করার জন্য কাজ করবো। এ সময় পৌরবাসীর সমর্থন আদায়ে বস্তুনিষ্ঠ লেখনির মাধ্যমে সাংবাদিকদের বিশেষ ভূমিকা রাখার প্রত্যাশা করেন তিনি।

মতবিনিময় সভায় ছানোয়ার হোসেন ছানু সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের অনুপ্রেরণায় আমি দৈনিক জামালপুরকণ্ঠের সম্পাদক ও প্রকাশক হতে পেরেছি। সাংবাদিক কমিউনিটির একজন সদস্য হিসেবে আমি আপনাদের কাছে বেশি সহযোগিতা কামনা করি। সাংবাদিকদের কল্যাণে আমি সব সময় পাশে থাকার চেষ্টা করি। ভবিষ্যতেও পাশে থেকে এ পেশার মাননোন্নয়নে সাধ্যমত চেষ্টা করে যাবো। পৌরসভার উন্নয়নের স্বার্থে সাংবাদিকদের যেকোনো পরামর্শকে আমি গুরুত্বসহকারে গ্রহণ করবো। এ সময় তিনি সাংবাদিক কল্যাণ তহবিল গঠনের তাগিদ দেন এবং তাৎক্ষণিক জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদা ও সাধারণ সম্পাদক মো. লুৎফর রহমানের কাছে সাংবাদিক কল্যাণ তহবিলে এক লাখ টাকার অনুদান দেন।

জামালপুর প্রেসক্লাবের সকল কর্মকর্তা ও সদস্যসহ জেলায় কর্মরত শতাধিক সাংবাদিক এ মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।