নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠিডটকম
পুষ্টিমান সম্পন্ন খাদ্য এবং অধিক উৎপাদনের লক্ষ্যে জিংক সমৃদ্ধ বিনাধান-২০ এর প্রদর্শনীর ওপর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৫ নভেম্বর জামালপুর সদর উপজেলার গোদাশিমলা গ্রামে ইউরোপিয় ইউনিয়নের অর্থায়নে বিংগস প্রকল্পের আওতায় হারভেস্টপ্লাস এর উদ্যোগে এই মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন।
মাঠ দিবস উপলক্ষে গোদাশিমলা বাজারে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে শরিফপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মাঝে আলোচনায় অংশ নেন এসসিএ জামালপুর জেলা বীজ প্রত্যায়ন কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সাইফুল আজম খান, বিনা জামালপুরের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ ড. মো. মাহবুবুর রহমান খান, শরিফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম, হারভেস্টপ্লাস বাংলাদেশ এর বিংগস প্রজেক্টের প্রকল্প সমন্বয়কারী কৃষিবিদ মো. হাবিবুর রহমান খাঁন ও প্রকল্প কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আজিজুল হক।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, স্থানীয় নেতৃবৃন্দসহ হারভেস্টপ্লাস এর অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
গোদাশিমলা গ্রামের মো. জাহাঙ্গীর আলমের জমিতে নমুনা ফসল কেটে হেক্টর প্রতি ৪.৫৩ টন ফলন পাওয়া যায়। মাঠ দিবসে জিংক সমৃদ্ধ বিনাধান-২০ এর উপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। আলোচকরা বলেন, জিংক সমৃদ্ধ খাবার খেলে ছেলে-মেয়েরা খাটো হয়না। শিশুদের দৈহিক বৃদ্ধি ও মেধার বিকাশ হয়। ক্ষুধা মন্দা দূর হয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। গর্ভবতী মায়ের জিংকের অভাব হলে শারীরিক দুর্বলতা দেখা দেয় এবং শিশুদের স্নায়ুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন বলেন, এই ধানের ফলন ভালো। পুষ্টির চাহিদা পূরণে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কৃষকভাইদের বেশি পরিমাণে জিংক সমৃদ্ধ ধান উৎপাদনের পরামর্শ দেন তিনি।
উল্লেখ্য, আমন মৌসুমে বিংগস প্রকল্পের আওতায় হারভেস্টপ্লাস বাংলাদেশ কর্তৃক ৮ হাজার ২২৪ জন কৃষকের মাঝে জিংক সমৃদ্ধ ব্রি ধান-৬২, ৭২ এবং বিনাধান-২০ বিতরণ করা হয়। এরমধ্যে জামালপুর সদরে ৮৫৯ জন কৃষককে বিনামূল্যে বিনাধান-২০ বিতরণ করা হয়েছিল। এছাড়াও জামালপুর সদর উপজেলায় ৬৩ জন কৃষককে বিনাধান-২০ প্রদর্শনী প্লট ও ৭৬ জন কৃষককে ব্রি ধান-৭২ এর প্রদর্শনী প্লট এর সুবিধা দেওয়া হয়।
বিংগস প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে জামালপুর ও শেরপুর জেলার পুষ্টিগতভাবে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় শিশু ও মায়েদের পুষ্টিমান উন্নত করা।