বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক : ক্রিকেটে ফেরার পর সরাসরি মাঠে নামতে পারবেন না দেশ সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। আসন্ন বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি টুর্নামেন্টে খেলতে হলে, ফিটনেস পরীক্ষা দিতে হবে তাকে।
বর্তমানে পরিবারের সাথে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন সাকিব। টুর্নামেন্ট শুরু হবার আগে-আগেই দেশে ফিরবেন তিনি।
ম্যাচ ফিক্সিং তথ্য গোপন করায় আইসিসি কর্তৃক এক বছরের নিষেধাজ্ঞা সম্প্রতি শেষ করে ক্রিকেট মাঠে ফেরার অপেক্ষায় আছেন সাকিব।
বাংলাদেশের শ্রীলংকা সফর স্থগিত না হলে, ঐ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট থেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারতেন সাকিব। কিন্তু এখন ঘরোয়া টুর্নামেন্ট দিয়ে ক্রিকেটে ফিরতে হবে তাকে।
শ্রীলংকা সফর দিয়ে ফেরার লক্ষ্যে, গত সেপ্টেম্বরে মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ও নাজমুল আবেদিন ফাহিমের অধীনে চার সপ্তাহের অনুশীলন ক্যাম্প সম্পন্ন করেন তিনি। অনুশীলন পর্বটি একেবারে রুদ্ধদার অবস্থায় হয়েছিলো।
ক্রিকেটে ফিরতে আগ্রহী হয়ে আছেন সাকিব, এমনটা জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো। তবে মাঠে ফেরার পর সাকিবের কাছ থেকে আহামরি কিছু আশা না করার আহ্বান করেছেন তিনি।
ছুটিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় যাবার আগে সাকিবকে নিয়ে ডোমিঙ্গো বলেন, ‘আমি তার সাথে কথা বলেছি। সে তার ফিটনেস নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করছে। সে এখন দেশের বাইরে রয়েছে। ফিট হতে তার কিছুটা সময়ের প্রয়োজন হবে এবং আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবে। আমরা জানি, সে বড় মাপের খেলোয়াড়। তাই আমি আশা করছি, বাংলাদেশের হয়ে ২০২১ মৌসুমটি দুর্দান্ত হবে সাকিবের।’
টি-টুয়েন্টি টুর্নামেন্টের জন্য সকল খেলোয়াড়কে বাধ্যতামূলক ফিটনেস পরীক্ষা দিতে হবে বলে ইতোমধ্যে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এ মাসের মাঝামাঝি সময়ে শুরু হবে টুর্নামেন্টটি।
নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন জানান, অন্যান্য খেলোয়াড়দের মত সাকিব আল হাসানকেও ফিটনেস পরীক্ষা দিতে হবে।
সুমন ২ নভেম্বর বলেন, ‘টুর্নামেন্টে খেলতে নামার আগে সকল খেলোয়াড়কে ফিটনেস পরীক্ষা দিতে হবে বলে সিদ্বান্ত নিয়েছে বিসিবি। সাকিবকেও একই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। আমি শুনেছি, তার ফিটনেসের অবস্থা ভালো আছে। সে অবশ্যই এটি ধরে সামনের দিকে এগোবে।’